প্রেসিডেন্ট সি’র তিন দেশ সফর: চীন-ইউরোপ সম্পর্কের টেকসই, স্থিতিশীল ও সুষ্ঠু বিকাশকে উন্নীত করবে
বাণিজ্য চীন ও ফ্রান্সের গতিশীল সম্পর্কের একটি অনন্য উদাহরণ। দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। ২০২৩ সাল নাগাদ তা ৮০০ গুণ বেড়ে ৭৮.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছায়৷ চীন এখন এশিয়ায় ফ্রান্সের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।
চীন ও ফ্রান্স যথাক্রমে পূর্ব ও পশ্চিমা সভ্যতার প্রতিনিধি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, উভয় পক্ষ ক্রমাগত তাদের সাংস্কৃতিক এবং জনগণের মধ্যে আদান-প্রদানকে প্রসারিত করেছে।
উদাহরণস্বরূপ, প্যারিসের নটরডেম ক্যাথেড্রাল এবং চীনের টেরাকোটা ওয়ারিয়র্সসহ উভয়পক্ষ তাদের নিজ নিজ আইকনিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার এবং সুরক্ষায় সহযোগিতা করেছে। উভয়পক্ষ একে অপরের দেশে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করেছে এবং ২০২৪ সালকে চীন-ফ্রান্স সংস্কৃতি ও পর্যটন বর্ষ হিসাবে মনোনীত করেছে। ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট সি’র এবারের সফর দুদেশের সম্পর্কে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
‘আয়রনক্ল্যাড’ বা ‘লৌহদৃঢ়’ শব্দবন্ধটি প্রায়ই চীন এবং সার্বিয়ার মধ্যে সম্পর্ক বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়।
গত বছরের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য তৃতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে যোগ দিতে বেইজিংয়ে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুসিকের সাথে সাক্ষাতের সময় প্রেসিডেন্ট সি চীন-সার্বিয়া সম্পর্ককে ‘লৌহদৃঢ় বন্ধুত্ব’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
তিনি বলেন যে, চীন-সার্বিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক দৃশ্যপটের পরিবর্তনকে প্রতিরোধ করেছে এবং চীন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উদাহরণ হয়ে উঠেছে। জবাবে, ভুসিক বলেন, তার দেশ চীনের সাথে তার ‘লৌহদৃঢ়’ বন্ধুত্বের জন্য গর্বিত।
চীন ও সার্বিয়ার মধ্যে ফলপ্রসূ বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা দু’দেশের বিশেষ সম্পর্কের প্রমাণ।