চীন-ফ্রান্স সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ফোরাম প্রসঙ্গ
অনুষ্ঠানে ব্রুনো ফক্স বলেন, ফ্রান্স-চীন সম্পর্ক সর্বদা পশ্চিমা দেশের সাথে চীনের সহযোগিতার অগ্রভাগে রয়েছে। দু’দেশ কূটনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষার ক্ষেত্রে গঠনমূলক সহযোগিতা চালাচ্ছে, যা ফলপ্রসূও হচ্ছে। এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে যোগাযোগের জন্য একটি ভালো রেফারেন্স বলা যেতে পারে। দু’দেশকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করতে হবে এবং বিশ্বের শান্তি সুরক্ষা, জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলা, পরিবেশের টেকসই উন্নয়ন, সবুজ ও পরিষ্কার জ্বালানিসম্পদ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে হবে।
চীনা রাষ্ট্রদূত লু শা ইয়ে তাঁর ভাষণে বলেন, ৬০ বছরে চীন-ফ্রান্স সম্পর্ক উভয় দেশের জনগণের জন্য সুফল বয়ে এনেছে এবং বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য অবদান রেখেছে। নতুন যুগে দু’দেশকে অবশ্যই মূল উদ্দেশ্য বজায় রাখতে হবে, যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে হবে, এবং একটি সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করতে হবে। দু’দেশকে প্রকৃত বহুপক্ষবাদ বাস্তবায়ন করতে, পারস্পরিক কল্যাণের বাস্তব সহযোগিতা জোরদার ও বাড়াতে, এবং উন্মুক্ততাভিত্তিক সংলাপকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিএমজি’র সিসিটিভি নেটওয়ার্ক পান্ডা চ্যানেল ও ফ্রান্সের বিউভাল চিড়িয়াখানা যৌথভাবে ‘শান্ত ও সুন্দর চীন’ নামের চীন-ফ্রান্স জায়ান্ট পান্ডা ক্লাউড কানেকশন ইভেন্ট তথা চীন-ফ্রান্স জায়ান্ট পান্ডা ছবি ও ভিডিও সহযোগিতা প্রকল্প চালু করে। সিসিটিভি নেটওয়ার্ক পান্ডা চ্যানেলে ফ্রান্সে জায়ান্ট পান্ডা ভ্রমণের ওপর একটি বিশেষ প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, এবারের ফোরামের মোট চারটি শাখা ফোরাম থাকছে। এগুলো হচ্ছে: রাজনীতি ও অর্থনীতি শাখা ফোরাম, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ শাখা ফোরাম, যুব-যোগাযোগ শাখা ফোরাম, এবং চীন-ফ্রান্স গণমাধ্যম সংলাপ।