১২তম ইরাক আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে চীনা সামরিক পণ্য
২০১৪ সালের জুনে চরমপন্থি সংগঠন আইএস ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল দখল করার পর গত ১০ বছরের মধ্যে ইরাকের পরিস্থিতি অব্যাহত সংঘাত ও যুদ্ধ থেকে ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতা ও পুনর্গঠনের দিকে যাচ্ছে। সহিংস চরমপন্থী কার্যকলাপের পুনরুত্থান রোধ করার জন্য সামরিক নির্মাণ জোরদার, সন্ত্রাসবাদ দমনের দক্ষতা বৃদ্ধি বর্তমান ইরাকি সামরিক বাহিনীর প্রধান উন্নয়ন লক্ষ্য। প্রদর্শনী চলাকালে ইরাকের সামরিক শিল্পের প্রধান প্রশাসনের মহাপরিচালক মোস্তফা আতি হাসান চীনের সঙ্গে সহযোগিতার প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত এই ধরনের প্রদর্শনী বিশ্বের আধুনিক সামরিক শিল্প কোম্পানির প্রযুক্তিগত অর্জনগুলো জানার একটি জানালা। চীন ও ইরাকের সামরিক শিল্প খাতের ভালো বোঝাপড়া ও পারস্পরিক আস্থা রয়েছে। হালকা ও মাঝারি অস্ত্র ও সাঁজোয়া গাড়ি শিল্পের ক্ষেত্রে চীনের সামরিক কোম্পানির সঙ্গে ভালো সহযোগিতা রয়েছে ইরাকের। যুদ্ধের পর চীনা কোম্পানিগুলো ইরাকের শিল্প পুনরুদ্ধারে বড় অবদান রেখেছে। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে চীনা সামরিক কোম্পানির সমর্থনে ইরাক আরো বেশি সামরিক প্রকল্প চালু করতে পারে।
ইরাকি সামরিক শিল্প কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক আলী মহসিন হুদেল বলেন, বর্তমান ইরাক ও চীন অব্যাহত সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে। চীনা সামরিক পণ্য উপযোগী, অসামান্য এবং তারা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলে। সামরিক পণ্য, সামরিক শিল্পায়নের ভিত্তি, যা জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশের সামরিক ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সহায়ক। ইরাকি সসশস্ত্র বাহিনী এই দিকটিতে উন্নয়নের চেষ্টা করছে।