সিচাংয়ের (তিব্বত) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে নতুন প্রাণসঞ্চার করেছে বিআরআই
কাজাখস্তান প্রজাতন্ত্রের জাতীয় জাদুঘরের প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতাত্ত্বিক বিভাগের একজন সিনিয়র গবেষক রুসলান দুভানবেকভ সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, দক্ষিণ কাজাখ শহর তারাজ এবং তুর্কেস্তানে চীন থেকে আনা বেশ কয়েকটি তেলের বাতি পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে তিনটি প্রদীপ বর্তমানে জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রয়েছে। "চীনা তেলের বাতিগুলো ভাল মানের উপকরণ থেকে তৈরি করা হয়েছিল, টেকসই এবং খুব উচ্চমানের কারুকার্য ছিল এগুলোতে।
২০১৩ সালে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) চালু হওয়ার পর থেকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রাচীন সিল্ক রোডের দক্ষিণ রুটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিংহাই প্রদেশকে দেওয়া সুযোগগুলোকে পুঁজি করেছে৷ মালভূমির বৈশিষ্ট্যসহ এখানকার বেশ কিছু আইকনিক পণ্য দেশে এবং বিদেশে বিখ্যাত।
চিয়াইয়া গ্রামের তিব্বতীয় কার্পেটের অবৈষয়কি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে উত্তরাধিকারী ইয়াং ইয়ংচু ১৩ বছর বয়সে তার বাবার কাছ থেকে কারুশিল্প শিখেছেন। তিনি জানান, তাদের গ্রামটি ছিং রাজবংশের সময়কাল থেকে তিব্বতি কার্পেটের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল। পশম নির্বাচন করা, উল ধোয়া, সুতা পাকানো এবং বোনা, এগুলো ব্যাপক পরিশ্রমলব্ধ মৌলিক দক্ষতা। বহু বছর প্রশিক্ষণের পরই তিনি তার পরিবারের সপ্তম প্রজন্মের কার্পেট তাঁতিতে পরিণত হন।
ইয়াং পারিবারিক কারখানা থেকে বড় আকারের উৎপাদন এবং তারপর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিব্বতি কার্পেটের যাত্রা প্রত্যক্ষ করতে পেরে গর্বিত।
২০০৪ সাল থেকে, ছিংহাই বার্ষিক আন্তর্জাতিক তিব্বতি কার্পেট প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে তিনি একবার তার চমৎকার তিব্বতি কার্পেট বুনন দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন। ২০০৬ সালে, তিব্বতি কার্পেট থেকে চিয়াইয়া গ্রাম চীনের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের শীর্ষ-স্তরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০০৭ সালে, শেংইউয়ান কার্পেট গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং ইয়াং কোম্পানিটির প্রসারে ভূমিকা রাখেন।