বাংলা

যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে ‘দায়িত্বশীল’ হবে বলে আশা প্রকাশ করে চীন: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2024-04-09 14:33:24
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য ইস্যুর রাজনীতিকরণ না করা বা ‘নিরাপত্তার’ নামে ‘অনিরাপত্তা’ সৃষ্টি না করা। সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্র সেদেশে চীনা কোম্পানির শাখার উপর তল্লাশী চালিয়েছে, পেন্টাগন অনেক চীনা সংস্থা থেকে ব্যাটারি কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, টিকটকের কার্যক্রম বিঘ্নিত করেছে, ‘জাতীয় সুরক্ষার নামে যুক্তরাষ্ট্র চীনের উন্নয়নে বাধা দেওয়ার অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে।’ যুক্তরাষ্ট্র ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ অজুহাত হিসেবে ব্যবহারের অভ্যাস পরিবর্তন না করলে, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে ‘সঠিক পথে’ ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে, চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা অর্থনৈতিক আইন এবং বাজারের নিয়ম অনুসারে পরিচালিত হওয়া উচিত। ইয়েলেনের সফরের সময়, দু’পক্ষ দু’দেশের মধ্যে সুষম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির ইস্যুতে চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ওয়ার্কিং গ্রুপের কাঠামোর মধ্যে যোগাযোগ করতে সম্মত হয়েছে। এই সম্মতিগুলো বাজারের উদ্বেগ দূর করতে এবং বাজারের নিশ্চয়তা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। এটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র, এ দুটি প্রধান অর্থনীতির দায়িত্বও বটে।

সফরকালে ইয়েলেন চীনের নতুন জ্বালানি শিল্পে তথাকথিত ‘ওভার ক্যাপাসিটি’ সমস্যাটিও উত্থাপন করেছেন। আসলে, এটি একটি মিথ্যা বক্তব্য। তথাকথিত ওভার ক্যাপাসিটি বাজারের চাহিদার চেয়ে বেশি উত্পাদন ক্ষমতাকে বোঝায় এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য মার্কিন এ মনোভাবকে সমর্থন করে না।

ইয়েলেন এবার চীন সফরের সময়, কুয়াংচৌ এবং বেইজিংয়ে বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছ থেকে ‘বিচ্ছিন্ন হতে’ চায় না। চীন একে স্বাগত জানায় এবং এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করে। গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন সরকার চীনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চিপ রপ্তানি সীমাবদ্ধ করা সংক্রান্ত নিয়মগুলো সংশোধন করেছে এবং বিধিনিষেধ আরও প্রসারিত করেছে। এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিচ্ছিন্ন না হওয়া’র বক্তব্যের স্পষ্ট বিপরীত। ইয়েলেনের চীন সফরের পর, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ‘বিচ্ছিন্ন না হওয়া’র প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা এবং চীনা ও আমেরিকান কোম্পানি এবং জনগণের মঙ্গলের পথ উন্মুক্ত করা।

এ বছর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪৫তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। অতীত অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বার্থ গভীরভাবে জড়িত এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদার করা উভয়পক্ষের জন্য উপকারী, এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্যও তা সহায়ক। এখন যেহেতু চীন-মার্কিন সম্পর্কের ক্রম অবনতি না হয়ে স্থিতিশীল হয়েছে, চীন আশা করে যে যুক্তরাষ্ট্র কাজের মধ্য দিয়ে তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করবে। যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে ‘দায়িত্ব নিতে’ পারে কিনা তা গোটা বিশ্বকে দেখাতে হবে।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn