যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে ‘দায়িত্বশীল’ হবে বলে আশা প্রকাশ করে চীন: সিএমজি সম্পাদকীয়
এপ্রিল ৯: মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন ৯ এপ্রিল তার চীন সফর শেষ করেছেন। তিনি এই বছর চীন সফরকারী প্রথম মার্কিন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, এবং ৯ মাসের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় বার চীন সফরে আসেন। এই সময়কালে, উভয়পক্ষ বহু-স্তরীয় এবং বহু-ক্ষেত্রের আলোচনা ও বিনিময় করেছে এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানদের গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যকে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রচারে ও আর্থিক সহযোগিতায় নতুন ঐকমত্যের ফলাফলে পৌঁছাতে সম্মত হয়েছে। ইয়েলেন বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের ‘দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক দায়িত্বের সাথে পরিচালনা করা উচিত’ এবং এ কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, তারা চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চান না।
বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। চীন সবসময় বিশ্বাস করে যে, চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার সারমর্ম পারস্পরিক সুবিধা ও জয়-জয় ফলাফল অর্জন, এবং এ লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে বেইজিং। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিজের জনগণ এবং বিশ্বের প্রতি তার যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইয়েলেন যেহেতু এবার ‘দায়িত্ব’ নিয়ে কথা বলেছেন, তাই সত্যিকারের ‘দায়িত্ব’ বলতে কী বোঝায় তা নিয়ে কথা বলা দরকার। এটি কোনোভাবেই মার্কিন অর্থনীতির দায় এবং মার্কিন স্বার্থের উপর ভিত্তি করে নয়। বরং, এটি অবশ্যই দু’দেশে নিজ নিজ কোম্পানি এবং জনগণের জন্য আরও সুবিধা তৈরি করবে, পারস্পরিক সুবিধা ও জয়-জয় ফলাফল বিবেচনা করবে এবং বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতি সাড়া দেওয়া এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উন্নীত করার কথাও বিবেচনা করবে। কিন্তু এটি কীভাবে করবে তারা? যুক্তরাষ্ট্রের জন্য, বেশ কয়েকটি সূচক রয়েছে যা পরিমাপ করা যেতে পারে।