প্রেসিডেন্টের সি’র বিশ্বসভ্যতা উদ্যোগ: কেন পরিবর্তনশীল বিশ্বে আন্তঃসভ্যতা সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ
ব্রিটিশ পণ্ডিত মার্টিন জ্যাকস লিখেছেন, পশ্চিমী সভ্যতা যে কোনো না কোনোভাবে সার্বজনীন- এ ধারণার বিপরীতে বিশ্বসভ্যতা উদ্যোগ ধারণাটি মানবজাতির অনেক সভ্যতার বিপুল সমৃদ্ধি এবং বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দেয়।
চীনা আধুনিকীকরণ, যেমনটি বিশদভাবে বলা হয়েছে, বিশাল জনসংখ্যার আধুনিকীকরণ, সকলের জন্য অভিন্ন সমৃদ্ধি, বস্তুগত ও সাংস্কৃতিক-নৈতিক অগ্রগতি, মানবতা ও প্রকৃতির মধ্যে সম্প্রীতি এবং শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন। এই বৈশিষ্ট্যগুলো ঐতিহ্যগত চীনা সংস্কৃতির প্রতিফলন খুঁজে পেতে পারে।
উন্নয়নশীল বিশ্বের অনেক দেশ দারিদ্র্য হ্রাস এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে পশ্চিমা মডেল বাদ দিয়ে চীনের অভিজ্ঞতা ও উপায়কে গ্রহণ করেছে।
আর্জেন্টিনার লা প্লাটা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষক সেবাস্তিয়ান শুলজ বলেন, “ইতিহাস দেখিয়েছে যে মানবতা তখনই উন্নতি লাভ করে যখন বিভিন্ন সভ্যতা শান্তিপূর্ণভাবে, সম্প্রীতির সঙ্গে একসাথে বসবাস করতে পারে।”
“প্রতিটি সভ্যতা অনন্য এবং কোন সভ্যতা অন্য কোন সভ্যতার চেয়ে উন্নত নয়, তাই প্রতিটি সভ্যতার বাকি সভ্যতার সাথে ভাগাভাগি করার মতো চমৎকার অবদান রয়েছে”— শুলজের ভাষায় এটাই প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বিশ্বসভ্যতা উদ্যোগের মর্মবাণী।
মাহমুদ হাশিম
সিএমজি বাংলা, বেইজিং।