ছুটির দিনগুলোতে সবুজ ও কম কার্বন নির্গমন নতুন শৈলী
চীনের হুপেই প্রদেশের ই ছাং শহরে বিদ্যুত্ চালিত প্রমোদ তরীতে করে ইয়াং জি নদী ভ্রমণ জনপ্রিয় হয়েছে। চীনের ‘ইয়াং জি নদীর তিন গিরিখাত এক’ নামক প্রমোদ তরী বর্তমানে বিদ্যুত্ ক্ষমতার দিক দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম প্রমোদ তরী। এ প্রমোদ তরীটি প্রধানত ইয়াং জি নদীতে রাতের দৃশ্য উপভোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। বসন্ত উত্সবের সময় এ প্রমোদ তরীতে করে ভ্রমণ অনেক জনপ্রিয় হয়েছে। অনেক পর্যটক হু পেই প্রদেশের ই ছাং শহরে প্রমোদ তরীটিতে করে ইয়াং জি নদীর অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করতে আসেন।
বসন্ত উত্সবের দ্বিতীয় দিন সকাল সাড়ে আটটায় ইয়াং জি নদীর তিন গিরিখাত ১ নামকে প্রমোদ তরীতে উঠেছেন ১৩০০জন পর্যটক। এর মধ্য দিয়ে ড্রাগন বছরের প্রথম যাত্রা শুরু হলো। ই ছাং শহরের তিন গিরিখাত পর্যটক সেবা কেন্দ্র থেকে শুরু করে তিন গিরিখাতের বাধেঁর নিম্ন সান তৌ পিং পর্যটন সেবা কেন্দ্র পর্যন্ত যাতায়াত করা হয়। এ প্রমোদ তরীটি লণ্ঠন, পেপার কাটিংসহ নানাভাবে সাজানো হয়েছে। যা বসন্ত উত্সবের পরিবেশ আরও জমকালো করেছে।
জানা গেছে, ইয়াং জি নদীর তিন গিরিখাত ১ প্রমোদ তরীর দৈর্ঘ্য একশ মিটার, প্রস্থ ১৬.৩ মিটার এবং ৪ মিটার উচ্চতা। এর ধারণক্ষমতা ১৩০০জন। এটি চীনের নিজস্ব উদ্ভাবিত বিশ্বের বৃহত্তম বিদ্যুত্ চালিত প্রমোদ তরী। এ প্রমোদ তরী দূষণমুক্ত ও কার্বনমুক্ত। চলতি বছরের বসন্ত উত্সবে এ প্রমোদ তরীতে ভ্রমণকারীর সংখ্যা ১৫ হাজার পার্সন টাইমসে ছাড়িয়ে যাবে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।
এ কার্বনমুক্ত জাহাজে করে পর্যটকরা বসন্ত উত্সবের পরিবেশ উপভোগের পাশাপাশি ইয়াং জি নদীর প্রথম বাঁধ-কে চৌ বাঁধে পানির ওঠানামার মাধ্যমে জাহাজের ওঠানামার বিষ্ময়কর অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। নদীর প্রবাহের বিপরীতে গিয়ে সি লিং গিরিখাত অতিক্রম করে দু’তীরে বিষ্ময়কর পর্বতমালার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এ সবুজ যাত্রা পর্যটকদের জন্য আনন্দ ও সন্তোষ সৃষ্টি করবেই।