চীনজুড়ে বসন্ত উত্সবের নানান বর্ণাঢ্য উদযাপন
কেবল বাড়িতে নয়, বরং অন্য স্থানেও পুনর্মিলন করা যায়।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের বসন্ত উত্সব চলাকালে যাত্রীর সংখ্যা ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। হিসাব অনুযায়ী, নতুন ১৪ হাজার উত্তপ্ত ভ্রমণ লাইনের জন্ম হয়েছে। তা থেকে বেশ কিছু বৈচিত্র্যময় উত্সব কাটানোর পদ্ধতি হয়েছে।
উত্তর চীনের তুষার ও বরফ ঢাকা স্থানে বসন্ত উত্সব চলাকালে প্রতিদিন ১১ লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করছেন। তাঁরা বেশিরভাগই দক্ষিণ চীনের মানুষ। চীনের চ্যচিয়াং প্রদেশের উ জেন শহরে নদীর ওপর ভাসানো ভোজ উপভোগ করেন পর্যটকরা। টিকিট সংক্রান্ত পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, বৈশিষ্ট্যময় সিটিতে উত্সব কাটাতে যাওয়া পর্যটকের তিন ভাগের এক ভাগ বড় শহর থেকে এসেছেন।
বসন্ত উত্সবের সময় ৪ হাজার ৬শ পর্যটক চীনের তৈরি জাহাজে করে বিশ্ব ভ্রমণ করছেন। বিস্ময়কর বিশ্ব দেখার পাশাপাশি তাঁরা নিজের তৈরি জাহাজ নিয়ে গৌরব বোধ করেন।
চীনের ছেং তু জায়ান্ট পান্ডা লালন কেন্দ্রের আশেপাশে হোমস্টে হোটেল বুকিংয়ের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ গুণ বেড়েছে। জায়ান্ট পান্ডার সঙ্গী হয়ে বসন্ত উত্সব কাটানো বর্তমানে একটি নতুন শৈলীতে পরিণত হয়েছে।
এ বসন্ত উত্সবে সোশাল মিডিয়ায় ‘বসন্ত উত্সবের নতুন পদ্ধতি’ সংশ্লিষ্ট সার্চের পরিমাণ ৩৩ লাখ ছাড়িয়েছে। বিদেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ, সমুদ্র সৈকতে সার্ফ করাসহ নানা অনুষ্ঠান সার্চের শীর্ষে রয়েছে।
বৈশিষ্ট্যময় পদ্ধতিতে বসন্ত উত্সব কাটানোয় জীবন-যাত্রার নতুন পরিবর্তনের মাধ্যমে যুগের নতুন প্রাণশক্তি অনুভব করছেন চীনারা।
রুবি/তৌহিদ