ফেন্টানাইল সংকট সমাধানে নিজের দিকেই নজর দেওয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের: সিএমজি সম্পাদকীয়
ফেব্রুয়ারি ১: মঙ্গলবার বেইজিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মাদকবিরোধী অভিযান মিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনের জাতীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ কমিটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। একই দিন মাদকবিরোধী অভিযান বিষয়ে চীন-মার্কিন পারস্পরিক সহযোগিতার একটি ওয়ার্কিং গ্রুপের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর ঘোষণা করা হয়। দুই দেশের দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সানফ্রান্সিসকো বৈঠক বাস্তবায়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করে সিএমজি সম্পাদকীয়।
২০২২ সালের আগস্টে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান অঞ্চলে সফরের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মাদকবিরোধী সহযোগিতা স্থগিত করেছিল চীন। এবার চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মাদকবিরোধী বিষয়ক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো পরামর্শ ও সহযোগিতার ব্যবস্থা চালু করেছে, যা উভয়পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ এবং সংলাপের পরিবেশের উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটি চীন-মার্কিন সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে গঠনমূলক ভূমিকাও পালন করছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাদকবিরোধী সহযোগিতার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র জোরালোভাবে প্রচার করছে। আমেরিকান সমাজে ফেন্টানাইল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সঙ্গে এই তোড়জোড়ের সম্পর্ক আছে।
ফেন্টানাইল একটি শক্তিশালী ওপিওড, যা মূলত ক্লিনিকাল অ্যানালজেসিয়া এবং অ্যানেস্থেশিয়ায় ব্যবহৃত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘমেয়াদে ওপিওডের অপব্যবহারের ফলে সমাজের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর ওষুধে পরিণত হয়েছে ফেন্টানাইল।
যুক্তরাষ্ট্রে এর এত অপব্যবহার কেন? নেপথ্যে আছে অনেকগুলো কারণ। প্রথমত, ব্যক্তিস্বার্থের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানিগুলো নীতিগত সুরক্ষা পেতে রাজনীতিবিদদের কাছে ধরনা দেয়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভরাও বিভিন্ন উপায়ে ডাক্তারদের আরও ওষুধ বিক্রিতে উৎসাহ দেয়। এতে সবাই মিলে স্বার্থের একটি চক্র তৈরি করেছে।