চীনের বরফ ও তুষার পর্যটন সম্পর্কে বিদেশি কূটনীতিকদের আগ্রহ প্রসঙ্গ
জানুয়ারি ২৯: শীতে জনপ্রিয় বরফ ও তুষার পর্যটন, হেইলোংচিয়াং প্রদেশ তথা সমগ্র উত্তর-পূর্ব চীনকে বিখ্যাত করেছে। চীনে নিযুক্ত অনেক বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকও এবার হেইলোংচিয়াংয়ে আসেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আসেন বরফ ও তুষারসম্পদ সমৃদ্ধ দেশ, যেমন সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া থেকে; কেউ কেউ সিঙ্গাপুরের মতো গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশের মানুষ।
এটি ছিল ২০২৪ সালে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত প্রথম ‘চীনে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের স্থানীয় সফর’ কার্যক্রম। চীনে নিযুক্ত ১৮টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ২২ জন দূত ও কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এ কার্যক্রমে অংশ নেন। তাঁরা ২৩ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থানীয় বরফ ও তুষারবিষয়ক ক্রীড়া ও পর্যটনশিল্প সম্পর্কে ধারণা পেতে শত শত কিলোমিটার অতিক্রম করেন।
চীনে সুইস রাষ্ট্রদূত উয়ুর্গ বারি বলেন, ‘পরিবেশের অনুভূতি’ হলো শীতকালীন পর্যটনের প্রথম উপাদান। এই দিক থেকে হেইলোংচিয়াং সুইজারল্যান্ডের মতোই। শীতকালে এটি একটি তুষার-সাদা পৃথিবী হয়ে ওঠে। ভালো অবকাঠামোও গুরুত্বপূর্ণ, যেমন পরিবহন ও স্কি রিসোর্ট সুবিধা। ইয়াবুলিসহ নানান স্কি রিসোর্ট বড় শহরের কাছাকাছি অবস্থিত। দ্রুতগতির ট্রেন ও উন্নত সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা থাকায় শহরের মানুষ সহজে স্কি রিসোর্টে যেতে পারে; বেশি সময় লাগে না।
ইয়ুর্গ বারি বলেন, “স্কি রিসোর্টে বৈচিত্র্যময় কার্যক্রমও থাকতে হবে; যেমন, সুইজারল্যান্ডে স্কি করার পাশাপাশি শপিংও করতে পারেন পর্যটকরা। হারবিন শহরে আমরা বরফ ও তুষার উত্সব এবং কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোক ঐতিহ্যের সমন্বয় দেখতে পারছি। এসব উপাদান মিলিয়ে একটি সফল শীতকালীন পর্যটন-গন্তব্য তৈরি করা সম্ভব।”
‘চায়না আইস অ্যান্ড স্নো ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট (২০২৪)’ অনুসারে, ২০২৩ ও ২০২৪ বরফ ও তুষার মৌসুমে, চীনে বরফ ও তুষার পর্যটকের সংখ্যা প্রথমবারের মতো ৪০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে এবং চীনের বরফ ও তুষার পর্যটন থেকে আয় হবে ৫৫০০০ কোটি ইউয়ানের বেশি।