জাতিসংঘে তারা যা-ই বলুক, বাস্তব সিনচিয়াং দেখেছেন অনেকে: সিএমজি’র সম্পাদকীয়
জানুয়ারি ২৫জেনিভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের চতুর্থ মানবাধিকার সম্মেলন হয়েছে গত ২৩ জানুয়ারি। সেখানে মানবাধিকারে নিজেদের অগ্রগতি ও সাফল্যগাথা তুলে ধরেছে চীন। মানবাধিকার নিয়ে চীনের অগ্রগতির ইতিবাচক মূল্যায়ন করেছে ১২০টিরও বেশি দেশ। মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নত করার ক্ষেত্রে চীনের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তারা। যারা সিনচিয়াংসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চীনের মানবাধিকারকে রাজনীতিকরণের অপচেষ্টা চালিয়েছে, তাদের মুখ বন্ধ করার জন্য এটাই ছিল যথেষ্ট।
সম্মেলনে চীনের যে প্রশংসা করা হয়েছে, সেটার প্রমাণ হিসেবে কয়েকটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করা যায়। সিনচিয়াংয়ের আলতাইয়ের কুরিপারান পরিবারের অতিথিশালার আয় এখন বছরে এক লাখ ইউয়ান ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালে সিনচিয়াংয়ে দেশি-বিদেশি পর্যটক ছিল ২৬ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার। ২০২২ সালের একই সময়ের চেয়ে যা ১১৭ শতাংশ বেশি। এটি রীতিমতো একটি রেকর্ড। কে কল্পনা করতে পারে যে, বহু বছর আগে এখানে সহিংসতা ঘটেছিল? পর্যটন পরিস্থিতি এভাবে ঘুরে দাঁড়ালই বা কী করে?
২৩ জানুয়ারি, ‘চীনের সন্ত্রাসবাদ দমন আইন ব্যবস্থা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে চীন। এতে চীনের সন্ত্রাসবাদ দমনের পদ্ধতি ও কার্যকারিতা তুলে ধরা হয় বিস্তারিত আকারে। সিনচিয়াংয়ের পরিবর্তন নিয়ে যাদের মনে প্রশ্ন ছিল, এই শ্বেতপত্র তাদের সব উত্তরই জানাবে।
সিএমজি’র সম্পাদকীয়তে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই শ্বেতপত্রের সর্বত্রজুড়ে আইনের বিধান মেনে সন্ত্রাস দমনের কথাই বলা হয়েছে। এতে শুধু জনগণের জানমালের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ঠেকানোর সর্বোচ্চ প্রয়াসই দেখা যায়নি, বরং এটি জনসাধারণের বেঁচে থাকা ও জীবনমানের উন্নয়নের অধিকারসহ মানবাধিকারও সুনিশ্চিত করেছে।