ডাভোস সম্মেলনে আশাবাদ: চীনের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াবে বিশ্ব-অর্থনীতি
ক্লাউস শোয়াব বলেন, অব্যাহত উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি এবং গতিশীলতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার প্রজ্ঞা চীনের রয়েছে।
চীন এখন প্রযুক্তির অনেক খাতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে ডব্লিউইএফ নির্বাহী চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘চীন এখন জিডিপিতে বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করছে।
সম্মেলনের ফাঁকে চীনা গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ক্লাউস ২০১৭ সালে ফোরামের বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণের সময় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ভাষণের উল্লেখ করে বলেন, তার ভাষণে মূল্যবান দায়িত্ববোধ ফুটে ওঠে। চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে আস্থার ভিত্তিতে, মতৈক্য সৃষ্টি করে, বিশ্ব প্রশাসনব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ করে তুলবে এবং আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
চীন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করেন ডব্লিউটিও মহাপরিচালক গোজি ওকোনজো-ইওয়েলা।
ওকোনজো বলেন, চীন এরই মধ্যে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে, যাতে দেশটি জোরালো অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার করতে পারবে বলে আশা করা যায়।
২০ বছরেরও বেশি আগে ডব্লিউটিও’তে যোগদানের পর থেকে, চীন বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে ওকোনজো বলেন, যা বিশ্বের বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গড়ে প্রায় ৩০ শতাংশ অবদান রাখছে।
বৈশ্বিক বাণিজ্য এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে চীনের মূল ভূমিকার কথা তুলে ধরে ওকোনজো-ইওয়েলা বলেন, ‘চীনের ক্ষেত্রে যা কিছু ঘটুক না কেন তা বিশ্বকে প্রভাবিত করে এবং সে কারণেই চীনা অর্থনীতির ভালো করাটা সবার স্বার্থের অনুকূলে।
বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা রক্ষায় চীনের ভূমিকার প্রশংসা করে ওকোনজো- বলেন, ‘ডব্লিউটিওর দৃষ্টিকোণ থেকে চীন বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা এবং বহুপাক্ষিকতার শক্তিশালী সমর্থক।’