২০২৩ সালে চীনের কূটনীতির প্রসারণ ও সফলতা
গেল এক বছরে অর্থাত্ ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে দেখা যায় নানা পরিবর্তন। দ্বন্দ্ব ও ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত বিশ্বের শান্তির জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। জটিল ও পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মুখে চীন কূটনীতির মাধ্যমে বিশ্বের সঙ্গে সহযোগিতা ও উভয়ের জয় বাস্তবায়নের নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হলো ২০২৩ আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও চীনের কূটনীতি আলোচনাসভা। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এ সভায় বলেছেন, গেল এক বছরে মানবজাতির ভাগ্য ও ভবিষ্যত এবং বিশ্বের উন্নয়ন সম্পর্কিত ব্যাপার নিয়ে চীনের কূটনীতি সবসময় ইতিহাসের সঠিক পথ ও যুগের উন্নয়নের পক্ষে রয়েছে। চীন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে। সহযোগিতা ও দ্বন্দ্বের মধ্যে আমরা সবসময় সহযোগিতার পথ বেছে নিয়েছি, উন্মুক্তকরণ ও আবদ্ধতার মধ্যে আমরা উন্মুক্তকরণের পক্ষে থেকেছি। যুদ্ধ ও শান্তির মধ্যে আমরা শান্তি বেছে নেই, বহুপক্ষবাদ ও একতরফাবাদের মধ্যে আমরা বহুপক্ষবাদের পক্ষে থাকি। ন্যায়বিচার ও আধিপত্যের মধ্যে ন্যায়বিচার বেছে নিয়েছে চীন।
২০২৩ সালে চীনের কূটনীতি নানা ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে। দেশের নেতাদের শীর্ষ বৈঠক বড় দেশ হিসেবে চীনের কূটনীতির নতুন স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছে। মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের সমাজ গড়ে তোলার ধারণা টানা ৭ বছরের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বেল্ট অ্যান্ড রোড আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শীর্ষ ফোরাম এ প্রস্তাবের উচ্চ মানের উন্নয়ন নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ব্রিক্স ব্যবস্থার সদস্য বাড়ানো হয়েছে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে সহযোগিতা করেছে। চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষসম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়, যা সুপ্রতিবেশীসূলভ বন্ধুত্বের নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছ। চীনের উদ্যোগে সৌদি আরব ও ইরানের ঐতিহাসিক সমঝোতা বাস্তবায়ন হয়েছে; যা রাজনৈতিক পদ্ধতিতে আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।