চীনে ‘কার্যকরভাবে ব্যাপক গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন এগিয়ে নেয়া হবে’
তৃতীয়ত, কৃষি দুর্যোগ প্রতিরোধ, হ্রাস এবং ত্রাণ পরিচালনা। কৃষি ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কৃষি বিপর্যয়ের সঠিক পূর্বাভাস এবং প্রাথমিক সতর্কতা, অবকাঠামো এবং দুর্যোগ ত্রাণ সরঞ্জাম নির্মাণকে শক্তিশালী করবে এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সহযোগিতা প্রক্রিয়া জোরদার করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা স্থাপন ও উন্নত করবে।
লিউ লি হুয়া বলেছেন যে, কৃষি ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আবহাওয়া, জল সংরক্ষণ, জরুরি ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য বিভাগের সাথে পরামর্শ এবং সমন্বয় জোরদার করবে, সময়মতো সতর্কতা তথ্য জারি করবে, ধীরে ধীরে সমস্ত স্থায়ী মৌলিক খামার জমিকে উচ্চ-মানসম্পন্ন কৃষি জমিতে পরিণত করবে এবং ‘ত-ব্যবহারের’ দুর্যোগ ত্রাণ সরঞ্জামগুলোর সংরক্ষণ করবে। উচ্চ তাপমাত্রা, খরা, জলাবদ্ধতা এবং রোগ ও কীটপতঙ্গ প্রতিরোধী চমৎকার জাতগুলো নির্বাচন এবং প্রচার করবে।
বড় আকারে দারিদ্র্যের দিকে প্রত্যাবর্তন রোধ করা হল ‘কৃষি, গ্রামীণ এলাকা এবং কৃষকদের’ কাজের মূল লক্ষ্য। কৃষি ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তা বিভাগের গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন পরিদর্শক ইয়াং লিয়ান বলেছেন যে, ২০২৩ হল দারিদ্র্য বিমোচন এবং গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের ফলাফলগুলোকে একীভূত ও সম্প্রসারণের গুরুত্বপূর্ণ বছর। সকল পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে, দারিদ্র্যের কোন বড় মাপের প্রত্যাবর্তন ঘটেনি। পরবর্তী ধাপে, কৃষি ও গ্রামীণ বিভাগ দারিদ্র্য ফিরে আসা রোধ করতে, তথ্য বিনিময় এবং ভাগাভাগি জোরদার করার জন্য পর্যবেক্ষণ ও সহায়তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত এলাকাকে অনুরোধ করবে এবং নির্দেশনা দেবে। প্রাসঙ্গিক শিল্প বিভাগগুলোর সাথে, এবং বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রাসঙ্গিক বিভাগের সাথে কাজ করবে।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, ২০২২ সালে দেশব্যাপী দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হওয়া মানুষের মাথাপিছু নীট আয় ১৪ হাজার ৩৪২ ইউয়ান। যা আগের বছরের তুলনায় ১৪.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে ২০২৩ সালে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হওয়া মানুষের আয় বেড়েছে।
পরবর্তী ধাপে, কৃষি ও পল্লী বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন অঞ্চল এবং প্রাসঙ্গিক বিভাগের সাথে কাজ করবে। যারা কাজ করতে সক্ষম তাদের জন্য শিল্প ও কর্মসংস্থান সহায়তা জোরদার করা হবে। যারা কাজ করতে অক্ষম, তাদের গ্রামীণ ন্যূনতম জীবনযাত্রার নিরাপত্তা লক্ষ্যমাত্রা সময়মত অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাতে জনসংখ্যার আয় বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে এবং তাদের জীবনযাত্রার উন্নতি হবে।
একটি বাসযোগ্য, কর্মক্ষম এবং সুন্দর গ্রামাঞ্চল গড়ে তোলা হল অধিকাংশ কৃষকের আকাঙ্খা। পরবর্তী ধাপে, আমাদের অবশ্যই গ্রামীণ নির্মাণ কর্মের সমন্বয় ও প্রচার করতে হবে এবং গ্রামীণ জীবন পরিবেশের উন্নতিতে নেতৃত্ব দিতে হবে। শিক্ষা, চিকিৎসা পরিচর্যা এবং বয়স্ক পরিচর্যার মতো সরকারি পরিষেবার মান উন্নত করতে হবে। ধীরে ধীরে টয়লেট, গ্রামীণ গার্হস্থ্য পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মত গ্রামীণ সংস্কার এগিয়ে নেয়া হবে, এবং সুন্দর ও বাসযোগ্য গ্রাম তৈরির প্রচেষ্টা জোরদার করা হবে।