প্রেসিডেন্টের সি’র কূটনৈতিক সাফল্যের বছর ২০২৩
২১ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় তার রাষ্ট্রীয় সফরের সময়, সি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সাথে চীন-আফ্রিকা নেতাদের সংলাপে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন। সি আফ্রিকার শিল্পায়ন, কৃষি আধুনিকায়ন এবং প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করার জন্য চীনের তিনটি উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেছেন।
সি জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনেও যোগ দেন, যেখানে ছয়টি দেশকে নতুন ব্রিকস সদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে সি বলেন যে, ব্রিকস সম্প্রসারণ ঐতিহাসিক এবং ব্রিকস সহযোগিতার একটি নতুন সূচনা।
২১ সেপ্টেম্বর, হাংচৌতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সি বলেন, চীন সিরিয়ায় বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে এবং সিরিয়ার জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সমর্থন করে।
এ ছাড়াও, হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট আইরিস জিওমারা কাস্ত্রো ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো মোরোস এবং ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট সির বৈঠক হয়েছে ।
ক্রমবর্ধমান প্রতিবেশী কূটনীতি প্রেসিডেন্ট সি’র কূটনৈতিক দূরদর্শিতার আরেকটি নজির। ১৯ মে, প্রেসিডেন্ট সি চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শায়ানসি প্রদেশের সি’আনে প্রথম চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন, যা চীন-মধ্য এশিয়া সম্পর্কের একটি নতুন মাইলফলক। ১৭ অক্টোবর, চীনা এবং ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা যৌথভাবে জাকার্তা-বান্দুং হাই-স্পিড রেলওয়ের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
সি ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর ভিয়েতনামে রাষ্ট্রীয় সফর করেন। উভয় পক্ষই কৌশলগত তাৎপর্য বহন করে এমন একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ নিয়ে চীন-ভিয়েতনাম সম্প্রদায় গড়ে তুলতে সম্মত হন।