প্রসঙ্গ: জিম্বাবুয়ের মুগাবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ
“প্রতি রাতে আমাদের মাত্র ৫ থেকে ৭ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়। এর মানে, প্রতি রাতে ট্র্যাকিং বন্ধ এবং শেষ ফ্লাইটের উড্ডয়নকাজ শেষ হবার পর আমাদের কয়েক শত সরঞ্জাম মাঠে নামিয়ে কাজ শুরু করতে হয়। এ ট্র্যাক থেকে ওই ট্র্যাক পর্যন্ত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ ও তেল দেওয়া, যন্ত্রপাতি বসানোসহ নানান কাজ শেষ করতে হয়। পরের দিনের ফ্লাইটের স্বাভাবিক উড্ডয়ন ও অবতরণও নিশ্চিত করতে হয়। এতো অল্প সময়ে, বিশেষ করে আফ্রিকায় এ কাজ শেষ করা সহজ নয়।”
ওয়েই ওয়েই জানান, প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য এতে প্রায় ২০০ জন চীনা কর্মী এবং হাজারেরও বেশি স্থানীয় কর্মী নিয়োগ করা হয়। এতে স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং পাশাপাশি চীনের অগ্রসর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি জিম্বাবুয়েতে এসেছে।
চীন ও জিম্বাবুয়ের কর্মীদের ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল চলতি বছরের জুলাই মাসে আনুষ্ঠানিতভাবে উদ্বোধন হয়। এর ক্ষমতা আগের বার্ষিক ১০ লাখ থেকে ৬০ লাখ পার্সন টাইমসে উন্নীত হয়েছে। জিম্বাবুয়ের বিমান কোম্পানির সিইও তাওয়ান্দা গুশা বলেন,
“এ প্রকল্প অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। অনেকে এখানে কাজ করছেন এবং পাশাপাশি কারিগরি বিদ্যা শিখতে পারছেন। এটি তাদের ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য সহায়ক। এ পুনর্গঠনকাজ বিমানবন্দরটির সক্ষমতাও বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি এয়ারলাইন্স এখানে আসবে বলে অনুমান করছি আমরা।”
গুশা আরও আশা করেন, ভবিষ্যতে জিম্বাবুয়ে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায় যৌথনির্মাণের আরও কাজে অংশগ্রহণ করবে এবং চীনের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক গভীরতর হবে।