১৭টি দেশের সাংবাদিকদের সিনচিয়াং পরিদর্শন প্রসঙ্গে
এমন একটি অঞ্চল যেখানে প্রাচীনকাল থেকেই একাধিক সংস্কৃতি সহাবস্থান করে আসছে। সিনচিয়াংয়ের বিভিন্ন জাতির সংস্কৃতি চীনা সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইরানের সাংবাদিক মোহাম্মদ রেজা নওরোজপুর বলেন, সিনচিয়াংয়ের বহু জাতির সংস্কৃতি একটি সুন্দর ফরাসি কার্পেটের মতো। বিভিন্ন রঙ ও নকশার সাথে একত্রে বোনা একটি সুন্দর শিল্পকর্ম যেন এটি।
এ ছাড়া, সাংবাদিকরা সিনচিয়াং ইসলামিক একাডেমি ও কাশগর ইদ কাহ মসজিদ পরিদর্শন করেন। তাঁরা আইন অনুযায়ী সিনচিয়াংয়ের বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে ধারণা পেতে একটি বিশেষ ফোরামে অংশগ্রহণ করেন।
কানাডার সাংবাদিক ডোনোভান রালফ মার্টিন বলেন, সিনচিয়াংয়ে মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা আছে। যারা মনে করে যে, সিনচিয়াংয়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই, তারা অজ্ঞ।
চলতি বছর হলো ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ উত্থাপনের দশম বার্ষিকী। বিদেশী সাংবাদিকরা মনে করেন, চীন-ইউরোপ রেলপথ, উরুমুছি সমাবেশকেন্দ্র, ও কাশগর বহুমুখী শুল্কমুক্ত এলাকাসহ বিভিন্ন সাফল্য এসেছে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ বাস্তবায়ন থেকে। এ অর্জন অসাধারণ।
কাজাখস্তানের সাংবাদিক ইয়েরজান বাগদাতোভ চীন-কাজাখস্তান হরগোস আন্তর্জাতিক সীমান্ত সহযোগিতাকেন্দ্র পরিদর্শন করার সময় উত্তেজিতভাবে বলেন, ‘আমি যেন বাড়িতে আছি!’ তিনি বলেন, এই সহযোগিতা কাজাখস্তান ও চীন, চীন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে একটি সেতু হয়ে উঠতে পারে।
সিনচিয়াংয়ে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ভিত্তিক একটি প্রদর্শনী পরিদর্শন করার সময় ছবি ও ভিডিও উপকরণের মাধ্যমে বিদেশী সাংবাদিকরা গভীরভাবে সন্ত্রাসদমন ও মৌলবাদবিরোধী ক্ষেত্রে সিনচিয়াংয়ের প্রচেষ্টা ও সাফল্য বুঝতে পারেন।