ব্রিকসের দায়িত্ববোধ থেকে সুন্দর ভবিষ্যত উন্মোচন করতে চায় চীন: সি চিন পিং
সি চিন পিং আরও বলেন, “আমাদের উচিত আর্থ-বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদার করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করা। উন্নয়ন হলো বিভিন্ন দেশের বৈধ অধিকার; অল্প কিছু দেশের বিশেষ অধিকার নয়। ব্রিকস দেশগুলোকে উন্নয়ন পথের সঙ্গী হতে হবে, অর্থনৈতিক হুমকির বিরোধিতা করতে হবে। চীন-ব্রিকস দেশগুলোর নতুন যুগের বিজ্ঞান উন্নয়ন উদ্যান নির্মাণ করবে চীন। চীন ‘বিকস দেশগুলোর বিশ্ব রিমোট উপগ্রহ ডেটা ও ব্যবহার সহযোগিতা মঞ্চ’ স্থাপনের চেষ্টা করবে, যাতে বিভিন্ন দেশের কৃষি, প্রকৃতি ও পরিবেশ এবং দুর্যোগ উপশমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমর্থন দেওয়া যায়। চীন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ‘ব্রিকস দেশগুলোর টেকসই শিল্প বিনিময় ও সহযোগিতা ব্যবস্থা’ স্থাপন করতে ইচ্ছুক।”
সি চিন পিং বলেন, “আমাদের উচিত রাজনৈতিক নিরাপত্তা সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা এবং শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা। ব্রিকস দেশগুলোর উচিত পরস্পরের কেন্দ্রীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরস্পরকে সমর্থন দেওয়া, তথ্য বিনিময় ও প্রযুক্তি সহযোগিতা জোরদার করা এবং ঝুঁকি প্রতিরোধ করা।
“আমাদের উচিত মানবিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করা। চীন মনে করে, ব্রিকস দেশগুলোর উচিত শিক্ষা খাতের সহযোগিতা জোরদার করা, ডিজিটাল শিক্ষা সহযোগিতা ব্যবস্থা স্থাপন করা এবং ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি বিনিময় সম্প্রসারণ করা।”
সি চিন পিং আরও বলেন, “ন্যয্যতায় অবিচল থাকতে হবে। বৈশ্বিক শাসন হলো আন্তর্জাতিক সমাজে উন্নয়নের সুযোগ ভাগাভাগি করা এবং বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সঠিক বিকল্প। ব্রিকস দেশগুলোর উচিত সত্যিকার অর্থের বহুপক্ষবাদ মেনে চলা, জাতিসংঘকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা রক্ষা করা, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে কেন্দ্র করে বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থাকে সমর্থন করা, উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো, নতুন উন্নয়ন ব্যাংকের ভূমিকা বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থার সংস্কার ত্বরান্বিত করা।”
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীন ব্রিকস দেশগুলোর সঙ্গে মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ-চেতনায় কৌশলগত অংশিদারিত্বের সম্পর্ক জোরদার করতে, বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে, ব্রিকসের দায়িত্ব দিয়ে অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং ব্রিকসের দায়িত্ববোধ থেকে সুন্দর ভবিষ্যত উন্মোচন করতে চায়।