জোহানেসবার্গ শীর্ষ সম্মেলন: ব্রিকস সহযোগিতা ও চীন-আফ্রিকা সংহতির জোরদারের প্রত্যাশা
শীর্ষ সম্মেলনে আলোচ্য সূচির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি, হবে ব্রিকসের সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, মিশর এবং ইথিওপিয়াসহ ২৩টি দেশ ব্রিকসের নতুন সদস্য হওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে। জোটের সম্প্রসারণ ব্রিকস সহযোগিতার উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রকৃতি প্রদর্শন করবে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে চীন আন্তর্জাতিক মঞ্চে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে চীন ব্রিকস দেশগুলোর মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বিভিন্ন সংকটের বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ায় ব্রিকসে চীনের আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য এখন ক্রমবর্ধমান উচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে, যা বিশ্বকে আরও বেশি নিশ্চিততা প্রদান করে।
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইরিনা কোকুশকিনা বলেন, চীন শুধু নিজের স্বার্থ না থেকে ব্রিকসের আওতায় সমতা ও পারস্পরিক উপকারের ভিত্তিতে সহযোগিতার নজীর স্থাপন করেছে।
ব্রিকসের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্টের কথা তুলে ধরে ইরিনা বলেন, ব্রিকস কোনো প্রকার রাজনৈতিক চাপ থেকে তার সদস্যদের মুক্ত রেখে নির্ভরযোগ্য অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার প্রস্তাব দেয়। বাস্তবিকভাবেই ব্রিকস ব্রিকস একটি ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পক্ষে একটি অভিনব দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে।
জোহানেসবার্গ শীর্ষ সম্মেলনে ব্রিকসের প্রভাব এবং চীনের ভূমিকা আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি। ব্রিকস বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষ ও অর্থনীতির ২৬ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে উল্লেখ করে ইরিনা বলেন, যখন কিছু গোষ্ঠী শুধুমাত্র কয়েকটি দেশের স্বার্থ পূরণ করে তবে তারা ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব হারাবে এটাই স্বাভাবিক।