চীন-ল্যাটিন আমেরিকা সহযোগিতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গ
জুন ৭: চীনের ‘ফুলের শহর’ নামে পরিচিত কুয়াংচৌয়ে ইকুয়েডরের গোলাপের সরবরাহ বেড়েছে; কিউবাসহ বিভিন্ন দেশ চীনের ইলেকট্রনিক ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্মে দোকান খুলেছে; চীনা বাজারে ল্যাটিন আমেরিকার গরুর মাংসের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। দৃশ্যত, চীন-ল্যাটিন আমেরিকা সহযোগিতা দিন দিন চাঙ্গা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে: কেন?
সম্প্রতি কলম্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট আর্নেস্টো সাম্পার এক সাক্ষাত্কারে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা প্রশান্ত মহাসাগরের এই পাশে আছি। তবে, এমন একটি যৌথ-উন্নয়নের ধারণা প্রশান্ত মহাসাগর অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখে।” বলাবাহুল্য, এই ধারণা হচ্ছে চীনের উত্থাপিত ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ প্রস্তাব।
ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলে চীনের সঙ্গে যৌথভাবে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় কাজ করার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি আর্জেটিনার অর্থমন্ত্রী চীন সফর করেন। এ সময় চীন ও আর্জেটিনা যৌথভাবে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় সহযোগিতা করতে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এটি ছিল গেল বছরের ফেব্রুয়ারিতে আর্জেটিনার ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগে যোগ দেওয়ার পর, দু’দেশের সহযোগিতার আরেকটি সুফল।
এদিকে, সম্প্রতি চীনের সাথে ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর অবকাঠামো নির্মাণ সহযোগিতামূলক নবম ফোরাম ম্যাকাও-এ অনুষ্ঠিত হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, অংশগ্রহণকারীরা যৌথভাবে উচ্চ গুণগত মানের ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ প্রতিষ্ঠাকাজ এগিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময় করেছেন। ল্যাটিন আমেরিকার গণমাধ্যমগুলো জানায়, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ প্রস্তাবের আওতায় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে চীনের যোগাযোগ গভীরতর হয়েছে। ল্যাটিন আমেরিকাও এর বাইরে নয়।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে চীন ও ল্যাটিন আমেরিকার ২১টি দেশ ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। কেন এই উদ্যোগ ল্যাটিন আমেরিকায় এতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে: এ উদ্যোগে চীনা জনগণ ও ল্যাটিন আমেরিকার জনগণের জন্য সত্যিকার অর্থেই কল্যাণকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।