শান্তি, সহযোগিতা ও উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে চীন: শাংরি-লা সংলাপে চীনা প্রতিনিধিদল
জুন ৫: গতকাল (রোববার) কুড়িতম শাংরি-লা সংলাপ সিঙ্গাপুরে শেষ হয়। এবারের সম্মেলনে চীন, মঙ্গোলিয়া, নিউ জিল্যাণ্ড, ফিলিপিন্স, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, জার্মানি, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-সহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিরক্ষা বিভাগের নেতা বা প্রতিনিধিদলের প্রধানরা দ্বিপাক্ষিক, আন্তর্জাতিক, ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময় করেন।
সংলাপশেষে, চীনা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, বাস্তব কার্যক্রমের মাধ্যমে বৈশ্বিক শান্তি রক্ষা করতে ইতিবাচক অবদান রেখে চলেছে চীন। আন্তর্জাতিক সমাজে চীনের অবদান প্রশংসিতও হয়েছে ও হচ্ছে।
অংশগ্রহণকারী চীনা প্রতিনিধিরা বলেন, শাংরি-লা সংলাপ নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনার প্ল্যাটফর্ম, আধিপত্যবাদকে উত্সাহ দেওয়ার মঞ্চ নয়। শান্তির জন্য, উন্নয়নের জন্য এবং সহযোগিতার জন্য এবারের সংলাপে অংশগ্রহণ করেছে চীন।
চীনের সামরিক বিশেষজ্ঞ এবং সামরিক ও বিজ্ঞান একাডেমির উপ-মহাপরিচালক হ্যলেই বলেন, চীনা রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাং ফু শাংরি-লা সংলাপে ‘চীনের নতুন নিরাপত্তা প্রস্তাব’ ব্যাখ্যা করেছেন। এতে তিনি আন্তর্জাতিক সমাজের সামনে, চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের তাত্পর্য তুলে ধরেছেন। আর চীনা আধুনিকায়নের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে অবিচল থাকা। এটি কেবল যে চীনাদের জন্য কল্যাণকর, তা নয়, বিশ্বের জন্যও কল্যাণকর। চীনা প্রস্তাব বৈশ্বিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি ও নতুন সুযোগ হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন,
“চীনের নতুন নিরাপত্তা প্রস্তাব সার্বিক, পদ্ধতিগত ও গভীরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এ বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রস্তাবের উত্থাপক। এই প্রস্তাব আসলে মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার ধারণার অংশবিশেষ। অভিন্ন ও বহুমুখী সহযোগিতামূলক অবিরাম নিরাপত্তার ধারণা কাজে লাগিয়ে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তুলতে হবে।”