বাংলা

শান্তি, সহযোগিতা ও উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে চীন: শাংরি-লা সংলাপে চীনা প্রতিনিধিদল

CMGPublished: 2023-06-05 15:30:47
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জুন ৫: গতকাল (রোববার) কুড়িতম শাংরি-লা সংলাপ সিঙ্গাপুরে শেষ হয়। এবারের সম্মেলনে চীন, মঙ্গোলিয়া, নিউ জিল্যাণ্ড, ফিলিপিন্স, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, জার্মানি, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-সহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিরক্ষা বিভাগের নেতা বা প্রতিনিধিদলের প্রধানরা দ্বিপাক্ষিক, আন্তর্জাতিক, ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময় করেন।

সংলাপশেষে, চীনা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, বাস্তব কার্যক্রমের মাধ্যমে বৈশ্বিক শান্তি রক্ষা করতে ইতিবাচক অবদান রেখে চলেছে চীন। আন্তর্জাতিক সমাজে চীনের অবদান প্রশংসিতও হয়েছে ও হচ্ছে।

অংশগ্রহণকারী চীনা প্রতিনিধিরা বলেন, শাংরি-লা সংলাপ নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনার প্ল্যাটফর্ম, আধিপত্যবাদকে উত্সাহ দেওয়ার মঞ্চ নয়। শান্তির জন্য, উন্নয়নের জন্য এবং সহযোগিতার জন্য এবারের সংলাপে অংশগ্রহণ করেছে চীন।

চীনের সামরিক বিশেষজ্ঞ এবং সামরিক ও বিজ্ঞান একাডেমির উপ-মহাপরিচালক হ্যলেই বলেন, চীনা রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাং ফু শাংরি-লা সংলাপে ‘চীনের নতুন নিরাপত্তা প্রস্তাব’ ব্যাখ্যা করেছেন। এতে তিনি আন্তর্জাতিক সমাজের সামনে, চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের তাত্পর্য তুলে ধরেছেন। আর চীনা আধুনিকায়নের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে অবিচল থাকা। এটি কেবল যে চীনাদের জন্য কল্যাণকর, তা নয়, বিশ্বের জন্যও কল্যাণকর। চীনা প্রস্তাব বৈশ্বিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি ও নতুন সুযোগ হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন,

“চীনের নতুন নিরাপত্তা প্রস্তাব সার্বিক, পদ্ধতিগত ও গভীরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এ বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রস্তাবের উত্থাপক। এই প্রস্তাব আসলে মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার ধারণার অংশবিশেষ। অভিন্ন ও বহুমুখী সহযোগিতামূলক অবিরাম নিরাপত্তার ধারণা কাজে লাগিয়ে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তুলতে হবে।”

চীনা প্রতিনিধিদলের বিশেষজ্ঞ, চীনের প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের উপ-অধ্যাপক চাং ছি বলেন, চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি’র ভাষণে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চীন আন্তর্জাতিক সমাজের সাথে অনেক কল্যাণ ভাগাভাগি করেছে। চীন জাতিসংঘের সকল স্থায়ী সদস্যদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী পাঠিয়েছে; কোভিড-১৯ মহামারী ঠেকাতে চীন বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ২০০ কোটি ডোজ কোভিড টিকা দিয়েছে। তিনি বলেন,

“এ ছাড়া, আমাদের আরও অনেক ভালো সহযোগিতামূলক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ এবং আঞ্চলিক বহুমুখী অর্থনৈতিক অংশীদারি সম্পর্ক চুক্তি (আরসিইপি)। এগুলো আসলে সবই চীনের অবদান। আমাদের হাত ধরে এশিয়ায় অনেক আঞ্চলিক মতভেদ দূর হয়েছে। বিগত ৪০ বছর ধরে এশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল অঞ্চল। এই ৪০ বছরে এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নও উল্লেখযোগ্য, যা সবার কাছেই স্পষ্ট।”

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। তাইওয়ান ইস্যু এবং দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে চীনের নির্ধারিত রেডলাইনকে ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি টলিয়ে দিয়েছে এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। তাইওয়ান ইস্যু এবং দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে চীনের অবস্থান স্পষ্ট ও দৃঢ়। কোনো শক্তি যদি চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা এবং ঐক্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তবে চীনা গণমুক্তি ফৌজ দৃঢ়তার সাথে তা প্রতিহত করবে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn