শেনচৌ-১৬ মিশন সম্বন্ধে নভোচারীরা যা বলেছেন
তিনি বলেন, এবার ‘মহাকাশ ভ্রমণ নিয়ে’ আমার খুব আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের অবস্থা সমন্বয় করবো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মহাকাশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াবো। আমি ভালোভাবে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করবো, প্রতিটি মহাকাশ যন্ত্র রক্ষা করবো, সব পরীক্ষা করবো। চীনের বিজ্ঞান খাতের শক্তিশালী দেশ এবং মহাকাশ খাতের শক্তিশালী দেশ গঠনে নিজের অবদান রাখবো। আর কাজের ফাঁকে, আমি সুন্দর পৃথিবী দেখবো এবং পরিবারের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
মহাকাশে প্রবেশ করা চীনের প্রথম পেলোড বিশেষজ্ঞ হিসেবে, কুই হাই ছাও বলেন, চীনের মহাকাশ স্টেশনের মাধ্যমে মহাকাশ মিশনের নতুন ভূমিকা শুরু হতে পারে, চীনের মহাকাশ বিজ্ঞান খাতে উন্নয়নের নতুন সুযোগ আসতে পারে।
তিনি বলেন, দায়িত্বের দিক থেকে, পেলোড বিশেষজ্ঞ হিসেবে, আমি প্রধানত পেলোড পরিচালনা, মেইনটেইন, মেরামত, মহাকাশ বিজ্ঞান পরীক্ষা, ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কাজ করি। যদিও আমাদের দায়িত্ব ভিন্ন, তবে প্রত্যেক অপারেশন এবং প্রত্যেক কর্তব্য আমরা তিনজন পরস্পরের ব্যাকআপ হিসেবে থাকি, যৌথভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করি। আমি বিশ্বাস করি, আমরা নিশ্চয় সফলভাবে কর্তব্য সম্পন্ন করবো।
এবার মিশনে নভোচারীরা মিশর, মাদাগাস্কার, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ দশটি আফ্রিকান দেশের যুবকদের শ্রেষ্ঠ আলোকচিত্র প্রদর্শন করবেন। জিং হাই ভেং বলেন, চীনের মহাকাশ স্টেশনে এই প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হবে।
তিনি বলেন, মহাকাশ অনুসন্ধান গোটা মানবজাতির অভিন্ন কর্তব্য। আমাদের অভিন্ন স্বপ্নও বটে। শান্তিপূর্ণভাবে আমরা একসঙ্গে সুন্দর ভবিষ্যত উন্মোচন করতে চাই। এবার আমরা শিশুদের সবচেয়ে সুন্দর যৌবন, মৈত্রী ও স্বপ্নের মহাকাশে নিয়ে যেতে পেরে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি।