বাংলা

চীনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে শতবর্ষী বৃদ্ধের কথা শুনতে হবে: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2023-05-29 16:04:29
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

অবশ্য, মার্কিন রাজনীতিকদের যা সবার আগে শেখা প্রয়োজন, তা হল সঠিকভাবে দেশের স্বার্থ উপলব্ধি করা। দেশের স্বার্থ রক্ষা করা কিন্তু চীনের সঙ্গে শত্রুতা করা নয়।

দ্বিতীয়ত, পেশাদার চেতনায় আরো সরলভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি এগিয়ে নেওয়া। চীন-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, তথা মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতি হোক, কিসিঞ্জারের বিভিন্ন কূটনৈতিক আচরণ একজন পেশাদার কূটনীতিকের গুণ প্রদর্শন করেছে, যা হল, রাজনৈতিক পার্টির লড়াই এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ এড়িয়ে কূটনীতি করা। তবে আজকাল যুক্তরাষ্ট্রে, অনেক রাজনীতিক কিন্তু রাজনৈতিক পার্টির দিক থেকে দেশের কূটনীতিকে যন্ত্র হিসেবে দেখে, নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ অর্জন করে, যা একদম ঠিক নয়।

এ ছাড়া, মার্কিন রাজনীতিকের উচিত ইতিহাসের জন্য দায়িত্বশীলভাবে কূটনীতি প্রণয়ন করা। অনেক বিশ্লেষক বলেন, আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে কিসিঞ্জার বিশ্ব উন্নয়নের প্রেক্ষাপট এবং দেশের মধ্যে সম্পর্ক সঠিকভাবে ধরতে পারেন। চীন-মার্কিন সম্পর্ক হল বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক। এ বিষয়ে তিনি বার বার বলেছিলেন যে, বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধি, আসলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক উপলব্ধির ওপর নির্ভর করে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যদি নতুন স্নায়ুযুদ্ধ ঘটে, তা দু’দেশ তথা সারা বিশ্বের জন্য একটি দুর্ঘটনা হবে।

ইতিহাস সবচেয়ে ভালো পাঠ্যপুস্তক, আধা শতাব্দী আগে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল। যা বর্তমান চীন-মার্কিন সম্পর্ক মোকাবিলায় অনেক অভিজ্ঞতা দিয়েছে। চীনের উত্থাপিত পারস্পরিক সম্মান, সহাবস্থান, সহযোগিতা এবং উভয় কল্যাণের নীতি হল নতুন যুগে চীন-মার্কিন সম্পর্ক উন্নয়নের সঠিক পথ।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn