বাংলা

চীনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে শতবর্ষী বৃদ্ধের কথা শুনতে হবে: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMGPublished: 2023-05-29 16:04:29
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

মে ২৯: মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হেনরি আলফ্রেড কিসিঞ্জার সবেমাত্র তাঁর শত বছর বয়সের জন্মদিন উদযাপন করেছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁকে চীনের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যা চীনের এই পুরানো বন্ধুকে চীন-মার্কিন সম্পর্ক উন্নয়নে রাখা অবদানের প্রশংসার বহিঃপ্রকাশ।

কিসিঞ্জারের কূটনৈতিক জীবন পর্যালোচনা করলে ১৯৭১ সালে তাঁর বেইজিং সফর খুব উল্লেখযোগ্য। সে বছর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের তত্কালীন নেতার সঙ্গে তিনি চীনে এসেছিলেন, দু’দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকায়নকে জোরদার করেছেন। যা এখনো চীন ও যুক্তরাষ্ট্র, তথা সারা বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ৫০ বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে, চীনের মার্কিন নীতি স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের বিরুদ্ধে ভুল বোঝাবুঝির কারণে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করে। এর ফলে দু’দেশের সম্পর্ক সঠিক পথ থেকে সরে এসেছে, সারা বিশ্ব এতে অস্থিরতায় পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘টাইমস’ ম্যাগাজিন সম্প্রতি মূল্যায়ন করে বলেছে যে, ‘বর্তমান বহুমেরুবিশিষ্ট বিশ্বে, কিসিঞ্জারের বাস্তব ভিত্তিক মনোভাব আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে। যখন চীন-মার্কিন সম্পর্ক আবার চৌরাস্তায় এসেছে, হোয়াইট হাউসের উচিত তাঁর কূটনৈতিক চেতনা শেখা।

প্রথমত, বাস্তব দৃষ্টিকোণ থেকে মার্কিন রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে। বাস্তববাদ মানে দেশের স্বার্থকে মতাদর্শের ওপরে রাখা। সঠিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিবেচনা করা এবং কূটনীতি প্রণয়ন করা।

তবে, আজ অনেক মার্কিন রাজনীতিক অনির্দিষ্ট অনুভূতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে, তথাকথিত ‘মূল্যবোধ কূটনীতি’ চালু করে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছোট চক্র তৈরি করে। কিসিঞ্জার এতে খুব উদ্বিগ্ন।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn