সমুদ্রে পারমাণবিক বর্জ্যপানি নিষ্কাশনের জাপানি পরিকল্পনা বৈধতা পাবে না
মে ২৩: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জি-৭ গোষ্ঠীর শীর্ষসম্মেলনে ফুকুশিমার পারমাণবিক বর্জ্যপানির সমুদ্রে নিষ্কাশনের পরিকল্পনার বৈধতা আদায়ের জাপানি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। অপ্রতিরোধ্য বিরোধিতার কারণে, শীর্ষসম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে জাপানের এই পরিকল্পনার পক্ষে কোনো বক্তব্য উল্লেখ করা হয়নি। এতে বরং শুধুমাত্র ‘আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার স্বাধীন তদন্তকে সমর্থনের’ কথা বলা হয়েছে।
এটা মোটেই অপ্রত্যাশিত ছিল না। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাপানি গণমাধ্যম জানায় যে, জাপানি সরকার এপ্রিল মাসে জি-৭ গোষ্ঠীর জলবায়ু, জ্বালানি ও পরিবেশ মন্ত্রীদের বৈঠকের ফলাফল নথিতে সমুদ্রে পারমাণবিক বর্জ্যপানি নিষ্কাশনের পরিকল্পনার পক্ষে বক্তব্য যোগ করতে চাইলেও, তা সফল হবার সম্ভাবনা কম। কারণ, জার্মানিসহ অন্যান্য দেশ শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে। বাস্তবতা হলো, এপ্রিল মাসের ওই সম্মেলনে জাপানের ইচ্ছা পূরণ হয়নি।
তখন জার্মান পরিবেশমন্ত্রী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, ‘সমুদ্রে পারমাণবিক বজ্যপানি নির্গমনকে স্বাগত জানানো উচিত্ নয়’। তবে জাপান সরকার হাল ছাড়েনি। তারা বরং অন্য একটি কৌশল অবলম্বন করে। এবারের জি-৭ শীর্ষসম্মেলনে জাপানি পক্ষ বিশেষভাবে অংশগ্রহণকারী রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমের কর্মীদের জন্য ফুকুশিমা প্রিফেকচারে উত্পাদিত খাবার, অ্যালকোহল ও স্ন্যাকস সরবরাহ করে। এর উদ্দেশ্য, সমুদ্রে পারমাণবিক বর্জ্যপানি ফেলার পরিকল্পনার পক্ষে সমর্থন আদায় করা।
এর আগে ফুকুশিমার খাবারে বারবার অত্যধিক তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি ধরা পড়েছিল। তাই জাপানের পদক্ষেপের বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। জাপানের কিয়োডো নিউজ এজেন্সি ২০ মে এক প্রতিবেদনে স্বীকার করেছে যে, জি-৭ শীর্ষসম্মেলনে ফুকুশিমায় উত্পাদিত খাদ্য ব্যবহার বিতর্কের সৃষ্টি করে।