২০২৩ বসন্তে চীনা প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক কার্যক্রম (১)
এই ঐতিহাসিক "বেইজিং সংলাপের" অল্প সময়ের মধ্যেই, ২৮শে মার্চ, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। গত ৬ এপ্রিল বেইজিংয়ে সৌদি আরব ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হয়। চীনের উপস্থিতিতে সৌদি আরব ও ইরান অবিলম্বে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ঘোষণা দিয়ে একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে।
বেইজিংয়ে সৌদি আরব ও ইরানের সংলাপ হল শান্তির বিজয় এবং তা শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। আঞ্চলিক দেশগুলির মধ্যে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উত্থাপিত ‘বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগের’ সফল অনুশীলনের পাশাপাশি, শান্তি স্থাপনে চীনের সক্ষমতা ও সাহস বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে।
২০ মার্চ প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মস্কো যান। পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর সেটাই ছিল তাঁর প্রথম বিদেশ সফর।
প্রেসিডেন্ট সি’র রাশিয়া সফর সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সফরের সময়, দুই রাষ্ট্রপ্রধান প্রাসঙ্গিক প্রধান ইস্যুতে দীর্ঘ সময় ধরে গভীর আলোচনা করেন এবং যৌথভাবে "নতুন যুগে সার্বিক কৌশলগত সহযোগী অংশীদারিত্ব গভীর করার বিষয়ে চীন-রুশ যৌথ বিবৃতি" এবং "২০৩০ সালের মধ্যে চীন-রাশিয়ান অর্থনৈতিক সহযোগিতার মূল দিকনির্দেশনা পরিকল্পনার যৌথ বিবৃতিতে" স্বাক্ষর করেন। এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ নথি পরবর্তী পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করে।
প্রেসিডেন্ট সি’র রাশিয়া সফর শুধুমাত্র বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার যাত্রা নয়, শান্তির যাত্রাও বটে। যা বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করে। চীনের প্রস্তাব এক বাক্যে সংক্ষেপে বলা যায়, শান্তি এগিয়ে নেওয়া এবং আলোচনা উন্নীত করা। প্রেসিডেন্ট সি আন্তরিকভাবে বলেছিলেন, "অবস্থা যত কঠিন হবে, শান্তির জন্য তত জায়গা রাখতে হবে; সংঘাত যত তীব্র হবে, সংলাপের প্রচেষ্টা তত বেশি হতে হবে।"