চীনের ‘দুই অধিবেশন’ বিশ্বে বসন্তের উষ্ণতা বয়ে আনবে
এবারের দুই অধিবেশনে সি চিন পিং চিয়াংসু প্রদেশের প্রতিনিধিদলের সাথে এত সভায় পুনরায় উচ্চমানের উন্নয়নের কথা জোর দিয়ে বলেন। তিনি বলেন, উচ্চমানের উন্নয়ন হলো সার্বিকভাবে সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ নির্মাণ-প্রক্রিয়ার প্রধান কাজ। তিনি উত্পাদন শিল্পের উচ্চ পর্যায়ের, বুদ্ধিমান ও সবুজ উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সম্পর্কে মিসরের কূটনীতিবিষয়ক কমিশনের সদস্য হেলমি বলেন, উচ্চমানের উন্নয়নের জন্য চীনের অবিরাম প্রচেষ্টা কেবল চীনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা নয়, বরং বিশ্বব্যাপী শিল্প ও সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে, বৈশ্বিক বাণিজ্য উন্নত করতে ও বিশ্বকে উদ্দীপিত করতে সুস্পষ্ট ভূমিকা রাখবে।
সি চিন পিং তাঁর ভাষণে আরও বলেন, চীনের উন্নয়ন বিশ্বকে উপকৃত করে এবং চীনের উন্নয়নকে বিশ্ব থেকে আলাদা করা যায় না। আমাদের অবশ্যই উচ্চ-স্তরের উন্মুক্তকরণকে দৃঢ়ভাবে উন্নত করতে হবে। নিজেদের উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী বাজার ও সম্পদগুলো ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং বিশ্বের সাধারণ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে গত ১০ বছরে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে চীনের গড় অবদান ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ২০২২ সালে চীনের বিদেশী মূলধনের প্রকৃত ব্যবহার ১৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ছিল, যা একটি নতুন রেকর্ড। এটি তিন বছর আগের ৫০ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে অনেক বেশি।
চলতি বছর হলো চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ কার্যকর হবার ৪৫তম বার্ষিকী। চীন সরকারের কর্মপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিপিটিপিপি-সহ বিভিন্ন উচ্চমানের আর্থ-বাণিজ্যিক চুক্তির স্বাক্ষর ত্বরান্বিত করতে হবে। এ সম্পর্কে আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ারস বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্জেন্টিনা-চীন গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক সান্তিয়াগো বুস্টেলো বলেন, বর্তমানে বাণিজ্যে সংরক্ষণবাদ বিশ্ব অর্থনীতিতে যখন অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে, তখন চীন অব্যাহতভাবে উচ্চমানের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং পারস্পরিক কল্যাণকর সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে। এতে গোটা বিশ্ব উপকৃত হবে।