চীনের ‘দুই অধিবেশন’ বিশ্বে বসন্তের উষ্ণতা বয়ে আনবে
মার্চ ১৪: চীনের জাতীয় গণকংগ্রেস (এনপিসি)-র প্রথম অধিবেশন গতকাল (সোমবার) শেষ হয়েছে। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সমাপন অনুষ্ঠানে বলেছেন, শক্তিশালী দেশ নির্মাণ ও জাতীয় পুনরুজ্জীবনের প্রক্রিয়ায়, কার্যকরভাবে উচ্চমানের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ ত্বরান্বিত করতে হবে। বিদেশী গণমাধ্যমগুলো মনে করে, ভবিষ্যতের জন্য চীনের পরিকল্পনা কেবল তার নিজস্ব দিক নির্ধারিত করেনি, বরং বিশ্বের জন্য বসন্তের উষ্ণতাও বয়ে আনবে।
সি চিন পিং তাঁর ভাষণে বলেন, এখন থেকে এ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত, সার্বিকভাবে একটি আধুনিক ও শক্তিশালী সমাজতান্ত্রিক দেশ গড়ে তোলা এবং চীনা জাতির মহান পুনরুত্থান বাস্তবায়ন করা হলো সিপিসি ও সকল চীনা জনগণের কেন্দ্রীয় দায়িত্ব।
চলতি বছরের দুই অধিবেশনের চাবিকাঠি টার্ম ছিল: চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন। যদি ‘চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন’-কে একটি উন্নয়নের মহান লক্ষ্য ও প্রক্রিয়া হিসাবে বর্ণনা করা হয়, তাহলে ‘উচ্চমানের উন্নয়ন’ ও ‘উচ্চমানের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ’ এ প্রক্রিয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বর্তমানে চীনা অর্থনীতি দ্রুত প্রবৃদ্ধির ধারণা থেকে উচ্চমানের উন্নয়নের ধারণার পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। এর মানে, চীন ‘অর্থনীতির কার্যকর উন্নতি এবং পরিমাণের যুক্তিসঙ্গত বৃদ্ধি ত্বরান্বিত’ করার দিকে মনোনিবেশ করছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে স্ব-নির্ভরতা অর্জন, শিল্পের কাঠামোগত রূপান্তর বাস্তবায়ন, এবং অর্থনীতি ও সমাজের সবুজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২২ সালে চীনের উচ্চপ্রযুক্তি, উচ্চ মূল্য সংযোজন পণ্য ও সবুজ রূপান্তর নেতৃস্থানীয় পণ্য রফতানি খাতের নতুন বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি রফতানি বছরে ১৩১.৮ শতাংশ বেড়েছে ও ফটোভোলটাইক পণ্য ৬৭.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।