বিশ্বের জন্য নতুন আশা বয়ে এনেছে হংকং
ফেব্রুয়ারি ৭: গতকাল (সোমবার) থেকে হংকং ও চীনের মূল ভূভাগের মধ্যে লোকজনের যাতায়াত স্বাভাবিক হয়েছে। মূল ভূভাগ ও হংকংয়ের মধ্যে আসা-যাওয়ায় এখন আর কোনো বাধা নেই। আগে থেকে কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্টেরও প্রয়োজন নেই। ব্লুমবার্গ বলছে, হংকং অর্থনীতি ও পর্যটন পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সম্প্রতি হংকং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ও স্থানীয় বাসিন্দারকে ৭ লাখ বিমান টিকিট উপহার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। হংকং বিশেষ প্রশাসনিক সরকারের মতে, আন্তর্জাতিক নগর হিসেবে হংকং ‘ফিরে’ এসেছে। আন্তর্জাতিক তথ্যমাধ্যমের মতে, ভবিষ্যতে চীনের মূল ভূভাগ ও বিশ্বকে সংযুক্ত করায় বিশেষ ভূমিকা পালন করবে হংকং।
মহামারী হংকংয়ের অর্থনীতির ওপর গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। পয়লা ফেব্রুয়ারি হংকং সরকার এক আনুমানিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এতে দেখে যায়, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে হংকংয়ের জিডিপি ৩.৫ শতাংশ কমেছে। এর আগে হংকং পর্যটন ব্যুরো প্রকাশিত উপাত্ত অনুযায়ী, ২০২২ সালে হংকংয়ে আসা পর্যটকের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ লাখ ৪৬০০ জন, মহামারীর আগের তুলনায় যা অনেক কম।
চীনের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণনীতি সমন্বয় ও মহামারী পরিস্থিতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে, চীনের মূল ভূভাগ ও হংকংয়ের মধ্যে যাতায়াত অবাধ হয়েছে। হংকং বিশেষ প্রশাসনিক এলাকার অর্থ বিভাগের প্রধান চেন মো পো ৫ ফেব্রুয়ারি বলেন, সরকারি ও ব্যবসায়িক ভ্রমণ এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে; পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে এবং রপ্তানি, পরিবহন ও লজিস্টিক, পর্যটন, খুচরা বিক্রি ও ক্যাটারিং খাত পুনরুদ্ধার হবে। পাশাপাশি, হংকংয়ে ইতিবাচক ও আশাবাদী পরিবেশ সৃষ্টি হবে। সিএনএন ওয়াবসাইট ৩ ফেব্রুয়ারি গোল্ডম্যান শ্যাক্সের বিশ্লেষকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, চলতি বছর হংকংয়ের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে ৩.৫ শতাংশ।