চলতি বছর বৈশ্বিক বাণিজ্যের সরবরাহ-চেইন স্থিতিশীল রাখতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে চীন
পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে চীনে বৈদেশিক পুঁজি আকৃষ্ট হওয়ার গতি স্থিতিশীলভাবে বেড়েছে। বৈদেশিক পুঁজির প্রকৃত পরিমাণ প্রথমবারের মতো ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান তথা ১৮৯.১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, যা একটি রেকর্ড। বাস্তবতা থেকে পুনরায় প্রমাণিত হয়েছে যে, চীন বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের জায়গা। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক পুঁজি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান মেং হুয়া থিং মনে করেন, চীনা অর্থনীতির দৃঢ়তা প্রবল, সুপ্তশক্তি বিশাল, চালিকাশক্তি যথেষ্ট। বিদেশী পুঁজির জন্য বিশাল বাজারের ‘চৌম্বকীয় আকর্ষণ’ আছে চীনের। তিনি বলেন,
“সম্প্রতি একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা চলতি বছর চীনা অর্থনীতিতে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি পুঁজির সঙ্গে জড়িত। সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাম্প্রতিক তদন্ত অনুসারে, সংখ্যাগরিষ্ঠ বিদেশী শিল্পপ্রতিষ্ঠান চীনা অর্থনীতির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী। পুঁজি বিনিয়োগকারীদের আস্থা থাকলে, আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্য ভালোভাবে সামনে এগিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। ১৪০ কোটিরও বেশি লোকঅধ্যুষিত দেশ হিসেবে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা-বাজার। বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগকারীরা তাই চীনে বিনিয়োগ করতে সবসময় আগ্রহী।”
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে চীনে বিদেশি পুঁজি আকৃষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি আরও জটিল। বৈশ্বিক অর্থনীতির অবস্থা দুর্বল এবং বিভিন্ন রকমের নেতিবাচক ফ্যাক্টর আরও বাড়ছে। গত জানুয়ারিতে জাতিসংঘ বাণিজ্য উন্নয়ন সম্মেলনে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, ২০২৩ সালে বিশ্বে আন্তঃদেশীয় পুঁজি বিশাল নিম্নমুখী চাপের সম্মুখীন হবে। তবে, চীনে পুঁজি বিনিয়োগে বিদেশীদের আগ্রহ কমেনি।