চলতি বছর বৈশ্বিক বাণিজ্যের সরবরাহ-চেইন স্থিতিশীল রাখতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে চীন
ফেব্রুয়ারি ৩: চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রধান গতকাল (বৃহস্পতিবার) বেইজিংয়ে জাতীয় তথ্য-কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ২০২২ সালে চীন বৈদেশিক বাণিজ্যে যথেষ্ট ভালো করেছে এবং এ খাতে নতুন চালিকাশক্তিও যুক্ত হয়েছে। চলতি বছর চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য আরও ভালো করবে বলে আশা করা যায়। ২০২৩ সালে নিজের বিশাল বাজারের সুবিধা কাজে লাগিয়ে, বৈশ্বিক বাণিজ্যের সরবরাহ-চেইন স্থিতিশীল রাখতে বরাবরের মতোই ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে চীন।
২০২২ সালে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য, অপ্রত্যাশিত বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে, সামনে এগিয়েছে। সেবছর দেশের আমদানি ও রপ্তানির মোট মূল্য প্রথমবারের মতো ৪০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে যায়। এ সম্পর্কে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক লি সিং ছিয়ান বলেন, চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য যৌক্তিক পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর কাঠামোও অব্যাহতভাবে সুবিন্যস্ত হচ্ছে। বিদ্যুত্চালিত গাড়ি, ফটোভোলটাইক পণ্য এবং লিথিয়াম ব্যাটারির মতো উচ্চ প্রযুক্তি, উচ্চ মূল্য সংযোজন এবং সবুজ রূপান্তর পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে নতুন প্রাণশক্তি যুগিয়েছে। পাশাপাশি, আন্তঃদেশীয় ই-কর্মাস এবং বাজার সংগ্রহসহ বৈদেশিক বাণিজ্যের নতুন রূপও তৈজীয়ান হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন,
“বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতির নিম্নমুখী ঝুঁকি বাড়ছে, বাইরের চাহিদার প্রবৃদ্ধি লক্ষণীয়ভাবে ধীর হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সরবরাহ-চেইনেও কমবেশি অস্থিতিশীলতা আছে, বৈদেশিক বাণিজ্যের উন্নয়নের পরিবেশও আশানুরূপ নয়। ২০২৩ সালে আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যের স্থিতিশীলতা ও ব্যাপকতা সুবিন্যস্ত করতে হবে, জাতীয় অর্থনীতিতে রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্থিতিশীল করতে হবে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য মেলা সার্বিকভাবে অফলাইনে আয়োজন করতে হবে। এগুলোর মধ্যে থাকবে আমদানি মেলা, কুয়াংচৌ বাণিজ্য মেলা এবং চীনের আন্তর্জাতিক উচ্চ প্রযুক্তি ফলাফল বাণিজ্য মেলাসহ ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মেলা। ডিজিটাইজিংয়ের মাধ্যমে বাণিজ্যের সুপ্তশক্তি অনুসন্ধান করতে হবে, যাতে মাঝারি ও ক্ষুদ্র আকারের বৈদেশিক বাণিজ্যে নিয়োজিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো রপ্তানিতে ভালো করতে পারে।