বসন্ত উৎসবে ভোগ নতুন বছরে চীনের অর্থনৈতিক প্রাণশক্তির প্রতিফলন
চলচ্চিত্রের মতোই ছুটির সময়কালে ভ্রমণের চাহিদা বহুগুণ বেড়েছে। চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, এ সময়ে প্রায় ৩০৮ মিলিয়ন অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ হয়েছে, যা গত বছরের বসন্ত উৎসবের ছুটির থেকে ২৩.১ শতাংশ বেশি এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ৮৮.৬ শতাংশ বেশি।
চীনের অভ্যন্তরীণ পর্যটনের রাজস্ব এ সময় ৩৭৫.৮ বিলিয়ন ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের থেকে ৩০ শতাংশ বেশি এবং ২০১৯ সালের চেয়ে ৭৩.১ শতাংশ বেশি।
চীনে ক্যাটারিং ব্যবসাও সপ্তাহব্যাপী ছুটিতে ভালো পুনরুদ্ধার অর্জন করেছে। ইয়েলপের চাইনিজ সংস্করণ ডায়ানপিং অনুসারে বসন্ত উৎসবের প্রাক্কালে রেস্তোরাঁর জন্য অনুসন্ধান গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫৭ শতাংশ বেশি হয়েছে।
এ সব কিছু চলতি বছর চীনের অর্থনীতিতে সার্বিক গতিশীলতা আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। চেজিং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ইনস্টিটিউটের মতে, চীনে মাথাপিছু ব্যয় ২০২৩ সালে এক বছর আগের তুলনায় ৮ থেকে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে ভোগ্যপণ্যের মোট খুচরা বিক্রয় বছরে ৭ থেকে ১১ শতাংশ বাড়বে।
এর ফলে যে ২০২৩ সালে চীনের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার নিশ্চিত হবে শুধু তা নয়, এটি বিশ্ব অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের গ্লোবাল ইকোনমিক মনিটরিং ব্রাঞ্চের প্রধান হামিদ রাশিদ সিনহুয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি মনে করেন চীনের অর্থনীতি সঠিক পথে রয়েছে। চীনের মুদ্রানীতিও যথার্থ। দেশটিতে অভন্তরীণ ভোগব্যয় বাড়ছে। বাড়ছে শিল্প বিনিয়োগও।
হামিদ রাশিদ বলেন, যদি চীনের অর্থনীতির এ ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে ২০২৩ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধি ৪.৮ শতাংশ, এমনকি তার বেশিও হতে পারে।
অন্যদিকে, চীনের বহিঃ-পর্যটনের আকার বিশাল বলে এটি মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো পর্যটননির্ভর দেশগুলোর জন্য সুবিধা নিয়ে আসবে।