সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় বসন্ত উৎসব কাটিয়েছেন
জানুয়ারি ২৫: এ বছরের বসন্ত উৎসব উপলক্ষ্যে চীনের বিভিন্ন স্থানে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় ভিড় দেখা যায়, বিভিন্ন বাজারে বসন্ত উৎসবের স্বাদ পাওয়া যায়। গোটা চীনে সমৃদ্ধ ও সুখের দৃশ্য দেখা যায়।
বেইজিং শহরের তংছেং এলাকায় তিথান পার্কে ‘বেইজিং শহরে সুখ ভরপুর, চীনের বসন্ত উৎসবের শুভেচ্ছা’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে বেইজিংবাসীর মাসকট ‘থু ইয়ে’ পরিদর্শন পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ২০১৪ সালে বেইজিং থু-ইয়ে মাটির ভাস্কর্য আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পর্যায়ের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। চিথুফাং স্টুডিও’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, আমরা থুইয়ে-সহ বেইজিংয়ের বৈশিষ্ট্যময় ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সবাইকে দেখাতে চাই।
তুছেং এলাকার বাসিন্দা মাদাম চাং বলেন, এ বছরের বসন্ত উৎসবে আমরা কাছাকাছি অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সংস্কৃতি অনুভব করেছি।
থিয়ানচিন শহরের সিছিং এলাকার ইয়াংলিউছিং প্রাচীন নগরে হাজার হাজার রঙিন লাইট দিয়ে সাজিয়ে একটি রঙিন রাতের আলোকচিত্র গড়ে তোলা হয়। ইয়াংলিউছিং কাঠের বসন্ত উৎসবের ছবি চীনের প্রথম দফা জাতীয় পর্যায়ের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইয়াংলিউছিং কাঠের বসন্ত উৎসবের ছবি’র প্রতিনিধিত্ব উত্তরাধিকারী হুও ছিং শুন বলেন, বসন্ত উৎসবের ছবি হলো ঐতিহ্যবাহী লোক সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বসন্ত উৎসবের দ্বিতীয় দিন ফুচিয়ান প্রদেশের ফুচৌ শহরের উথা ক্লাবে চীনা লোকজন বাদ্যযন্ত্র এরহু ও সানস্যুয়ান বাজান। তারা স্থানীয় অপেরা পরিবেশনা করেন। অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা ফুচিয়ানের আঞ্চলিক ভাষায় অপেরায় অভিনয় করেন।