মহামারীর বিরুদ্ধে তিন বছরের লড়াইয়ের মাধ্যমে চীন বিশ্বের জন্য যা করেছে: সিএমজি সম্পাদকীয়
১৯ জানুয়ারি ছিল নভেলকরোনাভাইরাস সংক্রমণ অবস্থাকে ‘বি-শ্রেণীতে’ অবনমন করার ১১তম দিন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, সারা দেশের সমস্ত প্রদেশের হাসপাতালের জ্বর ক্লিনিক, জরুরী বিভাগ এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া গুরুতর রোগীর সংখ্যা আগেই শিখরে পৌঁছেছে। ফলে মানুষ আরও প্রশান্তির সাথে বসন্ত উত্সবকে স্বাগত জানাতে পারবে।
বর্তমানে গোটা চীনে ধীরে ধীরে অতীতের মতো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসছে। অনেক চীনা পর্যটকও বিদেশ ভ্রমণ করছেন। এই সবই চীনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মহামারী প্রতিরোধের কারণে সম্ভব হচ্ছে। চীন মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে।
গত তিন বছরে চীন সরকার প্রতিটি চীনা নাগরিকের জীবন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। ১৪০ কোটিও বেশি জনসংখ্যার একটি বড় দেশ হিসাবে এই অর্জন মহামারীর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়েও ইতিবাচক অবদান। একই সঙ্গে সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী চীন তার মহামারী প্রতিরোধক-ব্যবস্থা সমন্বয় করেছে। যখন শক্তিশালী প্যাথোজেনিসিটিসহ মূল স্ট্রেন এবং ডেল্টা মিউট্যান্ট স্ট্রেন বৃহৎ পরিসরে ছড়িয়ে পড়ে, তখন চীন শক্তিশালী মহামারী প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করে, যা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মূল্যবান সময় দিয়েছে। সম্প্রতি ভাইরাসের পরিবর্তন, মহামারী পরিস্থিতি এবং প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কাজের ব্যাপক মূল্যায়নের ভিত্তিতে, চীন সময়মত মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থাকে সুবিন্যস্ত করে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পরিচালক বোর্জে ব্রেন্ডে মনে করেন, চীনের মহামারী প্রতিরোধনীতির সমন্বয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াবে এবং বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়ক প্রমাণিত হবে।