এশিয়া ও প্যাসিফিকের অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলায় চীনের ভূমিকা প্রসঙ্গ
চীন ‘এশিয়া ও প্যাসিফিক অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি’ গড়ে তোলাকে কেন্দ্র করে এশিয়া ও প্যাসিফিক সহযোগিতার সঠিক দিক রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। এটা বড় দেশ হিসেবে চীনের দায়িত্বশীল বোধের প্রতিফলন।
এপেক প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য হলো এশিয়া ও প্যাসিফিকের অর্থনীতির উন্মুক্তকরণ ও সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা। ১৯৯৪ সালে ‘বোগোর লক্ষ্যমাত্রা’ উত্থাপনের পর এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের বাণিজ্যের পরিমাণ ৫ গুণ বেড়েছে। বার্ষিক বৃদ্ধির গতি ৬.৭ শতাংশ। দ্বিপক্ষীয় পুঁজি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে ১২ গুণ, বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ। গড় কর আগের ১৩.৯ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫.২ শতাংশে। এর ভিত্তিতে ২০২০ সালের মালয়েশিয়া এপেক সম্মেলনে ‘পুত্রজায়া ভিশন ২০৪০’ উত্থাপিত হয়। এতে বলা হয়, ২০৪০ সালের মধ্যে একটি উন্মুক্ত, প্রাণচঞ্চল ও শান্তিপূর্ণ এশিয়া ও প্যাসিফিক কমিউনিটি গড়ে তোলা হবে। এ আকাঙ্খা পূরণে চীন ব্যাপক বুদ্ধি ও বাস্তব ব্যবস্থা সরবরাহ করেছে।
এবারের এপেক সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছেন, অবাধ ও উন্মুক্ত বাণিজ্য ও পুঁজি বিনিয়োগ হল ‘পুত্রজায়া ভিশন ২০৪০’ বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। সার্বিক ও উচ্চ মানের এশিয়া ও প্যাসিফিক অবাধ বাণিজ্য এলাকা স্থাপন করা, সার্বিকভাবে আঞ্চলিক অর্থনীতির সহযোগিতার মান বাড়ানো, চীনের উন্মুক্তকরণের দরজা আরো বড় করার জন্য চীন দৃঢ়ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
চীনের উন্নয়ন এশিয়া ও প্যাসিফিক ছাড়া হবে না, আবার চীনকে ছাড়া এশিয়া ও প্যাসিফিকের সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। একটি আধুনিক চীন নিশ্চয় নিজের নতুন উন্নয়ন দিয়ে এশিয়া ও প্যাসিফিক এবং বিশ্বের জন্য আরও বেশি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।