বাংলা

এশিয়া ও প্যাসিফিকের অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলায় চীনের ভূমিকা প্রসঙ্গ

CMGPublished: 2022-11-21 11:19:28
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

নভেম্বর ২১: এপেক নেতাদের ২৯তম অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন গত শনিবার থাইল্যান্ডে সমাপ্ত হয়েছে। সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি এশিয়া ও প্যাসিফিকের অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলা এবং আঞ্চলিক অর্থনীতির একীকরণ ত্বরান্বিতকরণে কয়েক দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন। তাঁর প্রস্তাব বিভিন্ন মহলে প্রশংসিতও হয়েছে।

সম্মেলনে ‘এপেক ঘোষণা’-সহ দু’টি দলিল গৃহীত হয়। এ সব দলিলে চীনের সংশ্লিষ্ট নীতি প্রতিফলিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক তথ্যমাধ্যমের অভিমত, সি চিন পিং-এর গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য বিশ্ব পরিচালনার ‘এশিয়া মূহূর্তকে’ আলোকিত করেছে। চীন অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ করার নেতৃত্বস্থানীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

এপেক হলো এশিয়া ও প্যাসিফিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সহযোগিতা মঞ্চ। বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নের ভবিষ্যৎঅনিশ্চিত। কোনো কোনো দেশ স্নায়ুযুদ্ধের চিন্তাধারার আলোকে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক’ কৌশল গ্রহণ করেছে, যা এশিয়া ও প্যাসিফিক সহযোগিতার পথে গুরুতর বাধাস্বরূপ। বিশ্ব অর্থনীতির ইঞ্জিন হিসেবে, এশিয়া ও প্যাসিফিকের সহযোগিতা কোন দিকে যাবে, কোন পথে যাবে, তা শুধু এতদঞ্চলের ভাগ্যের সঙ্গে জড়িত নয, বরং বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নেও এ প্রভাব থাকবে। চলতি বছরের এপেক সম্মেলন ‘উন্মুক্ত, যোগাযোগ ও ভারসাম্য’-কে প্রতিপাদ্য হিসেবে নির্ধারণ করে, যা এশিয়া ও প্যাসিফিকের দেশগুলোর অভিন্ন আকাঙ্খার প্রতিফলন।

চীন হলো এপেকের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ২০১৩ সাল থেকে সি চিন পিং বেশ কয়েক বার এপেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন, এশিয়া ও প্যাসিফিকের অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলার চিন্তাধারা ব্যাখ্যা করেছেন। এবারের এপেকের শিল্প ও বাণিজ্য নেতাদের সম্মেলনে সি চিন পিং নতুন পরিস্থিতিতে এশিয়া ও প্যাসিপিক সহযোগিতার ছয় দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এপেকের নেতাদের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে সি চিন পিং শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধশালী, পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর, পারস্পরিক সহযোগিতার এশিয়া ও প্যাসিফিক অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn