সিলেট-সুনামগঞ্জে স্মরণকালে ভয়াবহ বন্যা: উজানে অতিবৃষ্টিই একমাত্র কারণ নয়
সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার পানি নামার প্রধান দুটি নদী সুরমা-কুশিয়ারা। দুই শহরেই সুরমা নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলে স্বাভাবিক জলপ্রবাহ বিঘ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া নদী দুটির তলদেশ ভরাট হয়ে নাব্যতা কমে গেছে। হাওরে পরিবেশের কথা চিন্তা না করে বাধ-রাস্তাসহ নানা রকম উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে স্বাভাবিক পানির প্রবাহ আটকে দেওয়া হয়েছে। আর পাহাড়ি টিলা বৃষ্টি ও বন্যার অনেকখানি পানি শোষণ করে। কিন্তু নির্বিচার ধ্বংস করা হয়েছে ওই সব টিলা।
বন্যার হাত থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
এক. সুরমা-কুশিয়ারাসহ নদ-নদীগুলো খনন করে নাব্যতা বাড়ানো।
দুই. সিলেট নগরের ভিতরে প্রবাহিত ছড়াগুলো খনন করে পানিপ্রবাহ বাড়ানো।
তিন. বিল-ঝিল, হাওর-বাঁওড় জলাধার খনন করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ। এবং
চার. হাওরে অপরিকল্পিত কোনো বাধ, স্থাপনা নির্মাণ না করা।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে সরকার ভবিষ্যতে এমন অভাবিত দুর্যোগ থেকে মানুষের জানমাল রক্ষা করবে বলে দেশের মানুষে প্রত্যাশা।
মাহমুদ হাশি
ঢাকা স্টেশন, চীন আন্তর্জাতিক বেতার।