বাংলা

সিলেট-সুনামগঞ্জে স্মরণকালে ভয়াবহ বন্যা: উজানে অতিবৃষ্টিই একমাত্র কারণ নয়

CMGPublished: 2022-06-19 19:29:01
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোলমডেল- সরকারের তরফে এমন একটা আপ্তবাক্য গত বেশ ক’বছর ধরেই শোনা যায়। কিন্তু বাস্তবতার সঙ্গে সবসময় এর মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। সিলেট-সুনামগঞ্জে এবারের বন্যায় দুর্গত মানুষকে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় নৌকা কিংবা অন্য জলযান পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বন্যাপ্রবণ একটি এলাকার জেলা প্রশাসকের কাছে উদ্ধার ও ত্রাণতৎপরতা চালানোর মতো নৌযান থাকবে না- এটা কোনো প্রকার পূর্বপ্রস্তুতির নমুনা হতে পারে না।

এ ছাড়া সরকার যদি আগেই জানতো এবার বন্যা বড় আকারে হবে তবে জনসাধারণকে আগে থেকে সতর্ক করা হলো না কেন? এলাকার সচেতন মহল বলছেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সচেতন করা হলে সিলেট-সুনামগঞ্জের মানুষকে এতবড় দুর্যোগে পড়তে হতো না- তারা প্রস্তুতি নিতে পারতেন।

এদিকে, সিলেট-সুনামগঞ্জে এবার দ্বিতীয় দফা এ বন্যার পর থেকে বলা হচ্ছে যে বাংলাদেশের উজানে ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতরের কারণেই স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যার সৃষ্টি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন চেরাপুঞ্জির অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতই ভয়াবহ এ বন্যার একমাত্র কারণ নয়।

এ কথা ঠিক যে গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী তিন দিনে চেরাপুঞ্জিতে আড়াই হাজার মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে- যা গত ১২২ বছরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ। কিন্তু ১৯৮৮, ১৯৯৮ কিংবা ২০০৪ সালের গড় বৃষ্টিপাতকে এখনো ছাড়াতে পারেনি চলতি বছরের বৃষ্টিপাত। তবে বন্যার পানির উচ্চতা ও বন্যার ভয়াবহতা ছাড়িয়ে গেছে সব রেকর্ড।

তাহলে কেন এমনটা হলো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত তিনটি কারণে কয়েক যুগের মধ্যে বড় এ বন্যা হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জে।

এক. নদনদীর তলদেশ ভরাট হয়ে নাব্যতা হ্রাস।

দুই. হাওরে অপরিকল্পিত বাধ, রাস্তা ও স্লুইসগেট নির্মাণ।

তিন. নির্বিচারে পাহাড়ি টিলা ধ্বংস।

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn