বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩: জনবান্ধব বনাম ব্যবসাবান্ধব
বাজেটের সবচেয়ে ‘অসংবেদনশীল’ অংশ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া। করোনা মহামারির পরবর্তী সময়ে যেটা জরুরি ছিল বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। পেনশন ব্যতিত সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ৩ হাজার কোটি টাকা কমেছে। ওএমএসের ১০ টাকা কেজির চাল ১৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এবারের বাজেটে সবচেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে অর্থমন্ত্রীর নামমাত্র কর দিয়ে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার সুযোগ রাখা। একে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক কোনো দিক দিয়েই গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকরা। এতে এমন কিছু অর্থ দেশে আসবে বলে মনে করেন না তারা। এমনকি ব্যবসায়ী সমাজও এর বিরোধিতা করছেন। তারা বলছেন, এতে সৎ ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হবেন।
শুক্রবার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে কালো টাকা সাদা করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশ এমন সুযোগ দিয়ে লাভবান হয়েছে। তবে প্রতিবেশি ভারতে একাধিকবার এমন উদ্যোগ নিলেও তা খুব একটা কার্যকর হয়নি।
এ ছাড়া বাজেটে সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন আর মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশে রাখার বিষয়টি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এ অবস্থায় জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট পাশের আগে এ বিষয়গুলোর দিকে অর্থমন্ত্রী নজর দেবেন বলে প্রত্যাশা দেশের মানুষে।
মাহমুদ হাশিম
ঢাকা স্টেশন, চীন আন্তর্জাতিক বেতার।