‘কোভিড অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ
বিশ্ব অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি নতুন চাপ তৈরি করেছে। করোনা-পরবর্তী এই সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সরবরাহ ব্যবস্থায় যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতেও। আমদানি করা মূল্যস্ফীতির চাপ আর করোনা মহামারিতে কাজ হারানোদের আয়ের সংস্থান—দুটিই নতুন বছরের বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। আগামী অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুদের হার কমছে না।
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে উন্নয়ন ও কল্যাণমুখী বলে দাবি করেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। কল্যাণমুখী বাজেট ঘোষণা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে দেশের বাজারে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে। পাশাপাশি নির্মাণ-খাত জড়িত নানা পণ্যের দাম বাড়বে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। বাজেটের এ ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে এক লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। এসময় দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে তিন হাজার সাত মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উদ্ধৃতি দিয়ে এই প্রত্যাশা করেন অর্থমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদ ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। সেই থেকে এ পর্যন্ত ৫১তম বাজেট পেশ করেছে বাংলাদেশ।