পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বহুভাষিক ঐতিহাসিক উপকরণ এবং ঐতিহাসিক রচনা’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার
অধ্যাপক ছেন মিং বলেছেন যে, এ বিষয়ের ইতিহাস ঐতিহ্যের দিকে ফিরে তাকালে, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে পণ্ডিতরা স্কুলের অভ্যন্তরের ও বাইরের বিভিন্ন শাখার গবেষকদের সাথে একাডেমিক প্রকল্পগুলি পরিচালনা করার জন্য একসাথে কাজ করেছেন। যেমন ‘গ্রেন্ড থাং রাজবংশের পশ্চিমাঞ্চলের রেকর্ডস’ এবং ‘দ্য ট্রান্সমিশন অফ দ্য লো অফ রিটার্ন টু দ্য সাউথ চায়না সি’র জন্য টিকাভাষ্য দেওয়া ইত্যাদি। সমৃদ্ধ গবেষণা ফলাফল ভবিষ্যত প্রজন্মের স্কলারদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে। এই সেমিনারটি ‘ঐতিহ্য বজায় রাখা, সততা বজায় রাখা এবং উদ্ভাবন অন্বেষন করা’র একটি প্রয়াস। নতুন যুগের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মূল উৎসের উপকরণ ও দলিলপত্র সংগ্রহ ও গবেষণার মাধ্যমে অগ্রগামী গবেষণা সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি ভাল সুযোগ।
গবেষক লি চিন সিউ উল্লেখ করেছেন যে, বিভিন্ন সভ্যতা ভারত মহাসাগরের উপকূলে মিলিত ও একত্রিত হয়েছে, একটি বহুসংস্কৃতি নেটওয়ার্ক গঠন করেছে, যা হাজার হাজার বছর ধরে বিস্তৃত। এই সেমিনারের একটি বিস্তৃত দৃষ্টি রয়েছে এবং এতে ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব, ধর্ম, ভাষাতত্ত্ব, মূর্তিবিদ্যা, ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক উন্নয়নগুলোকে একত্রিত করে। এটি শুধুমাত্র ঐতিহাসিক বিষয়গুলোর আলোচনাই নয়, ভবিষ্যতের গবেষণার দিকনির্দেশগুলোর জন্য একটি সম্ভাবনার অন্বেষণও বটে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পণ্ডিতদের মধ্যে বিনিময় এবং সহযোগিতা আরও সঠিক ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা প্রদান করতে এবং আরও ত্রিমাত্রিক ঐতিহাসিক চিত্র তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
অধ্যাপক জু মিং উল্লেখ করেছেন যে, ভারত মহাসাগর আমাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল অশান্ত এবং মহান শক্তি প্রতিযোগিতার একটি মূল মঞ্চে পরিণত হয়েছে। আজকের বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এবং আমাদের জরুরিভাবে জ্ঞান উত্পাদন ও ব্যাখ্যা করার দক্ষতার উন্নত করতে হবে। গবেষকদের উচিত বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে বাধা অতিক্রম করা, দেশগুলোকে একক দেশ হিসেবে দেখার দীর্ঘস্থায়ী উপলব্ধি ভেঙে দেওয়া, একাধিক কোণ ও স্তর থেকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে জানা এবং বোঝা।