বাচ্চাদের কম চিনি ও লবণযুক্ত খাবার খাওয়ান
অনেক পরিবার নিয়মিত একই ধরনের তেল খাওয়া হয়, যা ঠিক নয়। বিভিন্ন ধরনের ভোজ্যতেলের পুষ্টিউপাদান ও ভুমিকা আলাদা। তাই, সবসময় এক ধরনের ভোজ্যতেল খেলে শরীরে পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। সালাদে জলপাই তেল বেশ উপযোগী, আর শাকসবজি রান্নায় চিনাবাদামের তেল আরও ভালো।
রান্নায় ভোজ্যতেলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি, বাচ্চাদের জলখাবারেও তেল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ৭৫ গ্রাম চিপস রান্না করতে ১২০ গ্রাম আলু ও ১০ গ্রাম ভোজ্যতেল দরকার। এক প্যাকেজ আলু চিপসের মধ্যে ১৬০ গ্রাম আলু ও ২৬ গ্রাম ভোজ্যতেল থাকে। ৪টি স্টিম কেক একসাথে খেলে প্রায় এক চামচ তেল খাওয়া হয়। তা ছাড়া, ওয়াফেলস বা বিস্কুটের মধ্যেও অনেক ভোজ্যতেল আর চিনি রয়েছে।
বাচ্চাদের অতিরিক্ত তেল খাওয়ার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। যেমন, খাবার রান্নার সময় নির্ধারিত পরিমাণে তেল ব্যবহার করতে হবে। স্টু, স্টিম বা সিদ্ধর পদ্ধতি ব্যবহার করে কার্যকরভাবে তেল খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এমন পদ্ধতিতে রান্না হলে খাবারে বিষাক্ত উপাদান সৃষ্টি এড়ানো যায়। খাবারের পুষ্টিগুণও এতে বজায় থাকে।
বাচ্চাদের শরীর গঠনে সয়া পণ্য বা দুগ্ধজাত দ্রব্য খাবার বেশি খাওয়া ভালো। এমন খাবারে প্রচুর ভালো প্রোটিন থাকে, যা বেশি খেলে শরীর বেশি ক্যালসিয়াম পায় এবং বাচ্চাদের দাঁত ও শরীরের হাড় শক্ত হয়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণের সয়া পণ্য ও দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া বাচ্চাদের জন্য বেশ ভালো।
রেস্তোরাঁয় লাঞ্চ বা ডিনারের সময়, বাচ্চাদের জন্য কম তেলযুক্ত খাবার অর্ডার করা ভালো। অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে খাবর কেনার সময় শুধু ম্যাকডোনাল্ডসের মতো ফাস্টফুডের ওপর নির্ভর করা চলবে না। এ ধরনের খাবার বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
বস্তুত, খাদ্যাভ্যাস ছোটবেলা থেকেই গড়ে ওঠে। বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে তাদের যত বেশি শাকসবজি, আস্ত শস্যদানা ও কম চর্বিযুক্ত খাবার খেতে উত্সাহ দেওয়া উচিত। ভাজা খাবার ও বেশি মিষ্টি খাবার যত কম খাওয়া যায়, তত ভালো। এভাবে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য রক্ষা করা সম্ভব।