কেন চীনা বাবা-মারা বাচ্চাদের ওপর রাগ করেন?
বাচ্চারা রাগ করার মতো কাজ করলেও, মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে। যদি দেখেন, বাচ্চার কোনো কাজ আপনার পছন্দ হচ্ছে না, তখন আগে মেজার নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে। রাগের মাথায় বাচ্চাকে কিছু বলে বসবেন না বা বাচ্চার গায়ে হাত তুলবেন না। আগে নিজের মাথা ঠাণ্ডা করুন, তারপর সময় নিয়ে বাচ্চার সঙ্গে কথা বলুন; বাচ্চাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দিন। বাচ্চাদের অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য বকাঝকা তেমন একটা কাজ করে না, নিয়মিত কথা বললে বরং তা কাজে দেয়। বাচ্চাকে বলুন, কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়। কেন উচিত নয়, তা-ও ব্যাখ্যা করতে হবে। কারণ, আপনি যেটা এতোবছরের শিখেছেন, তা ওই বাচ্চা চট করে শিখে ফেলবে না। তার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে। সে প্রশ্নের যথার্থ উত্তর দিতে হবে।
মেজাজ নিয়ন্ত্রণে না-থাকলে আমরা সাধারণত সামান্য অপরাধকেও অনেক সময় বড় করে দেখি। তখন বাচ্চাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগটাও দিতে চাই না। আবার অনেকে বলেন, একটা শিশু আবার কী বলবে? এটা ঠিক না। শিশুদেরকে অবজ্ঞা করা বা তাদের বুদ্ধিকে হেয় করার কোনো কারণ নেই।
যদি আপনি কথায় কথায় বাচ্চার ওপর রাগ করেন, তখন এক পর্যায়ে গিয়ে আপনার রাগকে আর পাত্তা দিবে না সে। একসময় দেখবেন মুখে মুখে তর্ক জুড়ে দিচ্ছে। এতে, সন্তানের সাথে আপনার সম্পর্ক খারাপ হতে থাকবে, যা কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাবা-মার উচিত সন্তানকে শান্ত মাথায় বোঝানো এবং এমন শব্দ ব্যবহার করা যা সে সহজে বুঝবে। বড়দের বোঝানোর জন্য যেসব শব্দ আমরা ব্যবহার করি, বাচ্চাদের জন্য তা কার্যকর নাও হতে পারে। যুক্তি দিন যা বাচ্চা বুঝতে পারবে। ধরুন আপনার বাচ্চা প্রতিদিন দেরিতে হোমওয়ার্ক করে। তো, তাকে বলুন, দেরিতে হোমওয়ার্ক করা মানে তোমার দেরিতে বিছানায় যাওয়া, যা তোমার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এভাবে বললে বাচ্চা বুঝবে। বাচ্চা পরীক্ষায় খারাপ করেছে? মেজার ঠিক রাখুন। শান্ত গলায় বলুন, পরীক্ষা খারাপ হলো কেন? কী মনে হয় তোমার? দেখবেন, বাচ্চা নিজেই এর উত্তর দেবে। ‘তুমি অলস, লেখাপড়া করো না, তাই রেজাল্ট খারাপ হয়েছে’ বলে বসবেন না। এতে হিসে বিপরীত হতে পারে।