থাং রাজবংশ আমলের "এক বিশ্ব, একটি পরিবার" ধারণা ও প্রসঙ্গকথা
মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তুলতে গেলে, আমাদের অবশ্যই বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে হবে এবং সার্বজনীন নিরাপত্তাকে উন্নত করতে হবে; আমাদের অবশ্যই পারস্পরিক উপকারিতা ও জয়-জয় সম্পর্ক মেনে চলতে হবে, অভিন্ন উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হবে, অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে এবং বহুপাক্ষিকতাকে সমর্থন করতে হবে; আমাদের অবশ্যই সবুজ ও নিম্ন-কার্বন নীতি মেনে চলতে হবে এবং টেকসই উন্নয়ন প্রচার করতে হবে। এটি একটি নিরাপত্তা কমিউনিটি থেকে স্বার্থের কমিউনিটি, তারপর মূল্যবোধের কমিউনিটি এবং এমনকি, অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ার দুর্দান্ত বাস্তবায়ন-পথ। মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ একটি মিথ্যা বা বিমূর্ত অস্তিত্ব নয়, বরং তা প্রতিটি দেশ ও প্রতিটি জাতির সাথে জড়িত। প্রত্যেকেই এর মধ্যে একটি অণু, এবং প্রতিটি দেশ এটির একেকটি কোষ। বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার মুখে, মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আজকের বিশ্বে, দেশগুলোর উন্নয়নকে একে অপর থেকে আলাদা করা যায় না। শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথ অনুসরণ করা, জয়-জয় সহযোগিতার পথে চলা, এবং একটি উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি গড়ে তোলা আজকের পৃথিবীতে সাধারণ প্রবণতা। অর্থনৈতিক বিশ্বায়নকে একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সর্বজনীন, ভারসাম্যপূর্ণ এবং জয়-জয় উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের সহযোগিতা করা উচিত।
মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ হল শান্তি ও উন্নয়নের আদর্শ লক্ষ্য এবং শান্তি ও উন্নয়ন অর্জনের একটি বাস্তব উপায়। মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজের গন্তব্য হল সবাই পরস্পরকে ভালোবাসার একটি "মহান সম্প্রীতি"-র সমাজ বাস্তবায়ন করা। এটি সারা বিশ্বের মানুষের দীর্ঘ যাত্রা ও উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া গন্তব্য।