"প্রতিবেশী দেশের তরমুজ ক্ষেতে জল ঢেলে উপকার করার" গল্প
এটি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য, যে দেশগুলি একে অপরের প্রতিবেশী। প্রতিবেশীরা দীর্ঘ সময়ের জন্য সহাবস্থান করে এবং ঘন ঘন যোগাযোগ করে। পাশাপাশি দ্বন্দ্বও অনিবার্যভাবে দেখা দেবে। মূল বিষয় হল, দ্বন্দ্ব মোকাবিলার জন্য যুক্তিসঙ্গত পদ্ধতি থাকতে হবে। এই গল্পে দেখা যায়, ছু রাজ্য তার নিজস্ব উন্নয়নের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে, কিন্তু তার প্রতিবেশী দেশের শ্রমের ফলের জন্য লোভী ছিল এবং ঈর্ষা থেকে লিয়াং রাজ্যের তরমুজ ক্ষেত ধ্বংস করেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, ছু রাজ্য তার প্রতিবেশী দেশগুলির সব তরমুজের চারা তুলে নিলেও, এটি তার নিজের দেশে তরমুজের চারা সমস্যার সমাধান করে না।
প্রাচীন চীনা ঋষি মেনসিয়াস জোর দিয়ে বলেন: "আপনি যদি কিছু করতে অক্ষম হন তবে নিজের দিকে তাকান।" এর মানে হল যে, যদি আপনার ক্রিয়াগুলি প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন না করে তবে আপনাকে প্রথমে নিজের সমস্যা নিয়ে চিন্তা করা উচিত।
এই নীতি আন্তর্জাতিক বিনিময়ের পর্যায়েও প্রসারিত করা যেতে পারে। একটি দেশের সমস্যা প্রথমে দেশের নিজের সমস্যা আছে কিনা তা দিয়ে বিশ্লেষণ করা উচিত। অভ্যন্তরীণ কারণই মূল কারণ। কারণ খুঁজে বের করলেই সমস্যার সমাধান করা যায়। একটি দেশের উন্নয়ন সমস্যা শুধুমাত্র উন্নয়নের মাধ্যমেই সমাধান করা যেতে পারে। সঙ্কটকে অতিক্রম করা বা মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।
মেনসিয়াস বলেছেন: "একজন পরোপকারী ব্যক্তি অন্যকে ভালবাসে এবং একজন ভদ্র ব্যক্তি অন্যকে সম্মান করে। যারা অন্যকে ভালবাসে তারা সর্বদা অন্যদের ভালবাসা পায়; যারা অন্যকে সম্মান করে তারা সর্বদা অন্যদের সম্মান পায়।" এর অর্থ, আপনি যদি অন্যকে ভালোবাসেন তবে আপনি অন্যের ভালবাসাও পাবেন, আপনি যদি অন্যকে সম্মান করেন, তবে আপনি অন্যের সম্মানও পাবেন। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও পারস্পরিক ভালবাসার এই কনফুসিয়ান চিন্তাধারা চীনা জাতির চেতনায় পরিণত হয়েছে, চীনা জনগণের হৃদয়ে প্রোথিত হয়েছে এবং চীনা জনগণের চিন্তাভাবনা ও আচরণের উপর একটি সূক্ষ্ম প্রভাব পড়েছে। চীন সংলাপ, পরামর্শ ও শান্তিপূর্ণ আলোচনাকে যথাযথভাবে দ্বন্দ্ব ও মতভেদ নিরসনে মেনে চলে, যা পারস্পরিক সম্পর্কের টেকসই উন্নয়ন বজায় রাখার একটি কার্যকর পথ।