পিতামাতার সাথে না-থাকা বাচ্চাদের যত্নে সহকারী শিক্ষকদের প্রচেষ্টা
যদিও মেয়ে উ ছিং ও তার ছোট বোন নিজেদের জীবন নিজেরাই যাপন করে, তবে তাদের আর্থিক অবস্থা মোটামুটি ভালো। কিছু কিছু বাচ্চার জীবনের বোঝা ও চাপ সহকারী শিক্ষকদের জন্য কষ্টের ব্যাপার। কিছু পরিবারের বাচ্চারা একদিনে কেবল একবার খাবার খেতে পারে। কিছু পরিবারে নানা-নানীর শরীর দুর্বল, তাঁরা বাচ্চাদের যত্ন নিতে পারেন না; বাচ্চাদেরই বরং তাদের দেখাশোনা করতে হয়। কোনো কোনো বাচ্চাকে শীতকালেও গ্রীষ্মকালের হালকা কাপড় ও স্কুলের ইউনিফর্ম পরে থাকতে হয়।
সহকারী শিক্ষক তৌ ওয়েন থাও নিয়মিত তাঁর ছাত্রছাত্রীদের বাসায় যান। তাঁর ক্লাসের বাচ্চারা কেউ কেউ দৈনিক ১০ কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে পৌঁছায়। শুক্রবার বিকেলে স্কুল থেকে ক্লাস শেষ করে শিক্ষক তৌ ছাত্রছাত্রীদের সাথে পাহাড়ের পথ ধরে হেঁটে তাদের বাড়ি যান। একদিন রাতে তিনি স্কুলে ফিরে যাওয়ার সময় পথ হারিয়ে ফেলেন। নভেম্বর মাসে পাহাড়াঞ্চলে রাত কাটানো বেশ কষ্টের ব্যাপার। সেটি তাঁর স্মৃতিতে এখনও জ্বলজ্বল করছে।
বাচ্চাদের কাছে যুব-শিক্ষকদের সাথে আড্ডা করা বেশ মজার ব্যাপার। তাই, স্কুলের ক্লাস শেষ করে তারা সবসময় শিক্ষকদের সাথে কথাবার্তা বলতে চায়, গল্প করতে চায়। শিক্ষক লিনের সাথে বেশ সুসম্পর্ক স্থাপন করেছে ছেলেমেয়েরা। শিক্ষক তৌ ভালো গিটার বাজাতে পারেন, তাই স্কুলের ক্লাস শেষ করে ছেলেমেয়েরা সবসময় তাঁর গিটার শুনতে আগ্রহী।
চলতি বছরের বসন্তকালে স্কুলে হোস্টেল চালু হয়েছে। তখন থেকে মেয়ে উ ছিং ও তার ছোট বোন হোস্টেলে থাকা শুরু করে। তাদের জীবন এখন আগের চেয়ে সুশৃঙ্খল হয়েছে। আরও ২ মাস পর শিক্ষক লিনের স্কুলের সহকারী শিক্ষকের মেয়াদ শেষ হবে। উ ছিং বলেন, নতুন শিক্ষক আসলে তাকে দুই বোনের যত্ন নিতে অনুরোধ জানাবেন তিনি।
বেইজিংয়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন পদ্ধতির প্রয়োগ