চীনের জাতীয় প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা প্রসঙ্গ
চীনে বয়স্ক লোকের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এক জরিপ অনুসারে, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত চীনে ৬০ বছর বয়সের চেয়ে বেশি বয়সী প্রবীণের সংখ্যা ছিল ২৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজারের বেশি, যা দেশের মোট লোকসংখ্যার ১৮.৯ শতাংশ। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩৫ সালে চীনে ৬০ বছর বয়সের উপরের প্রবীণের সংখ্যা ৪০ কোটি ছাঁড়িয়ে যাবে, যা হবে দেশের মোট লোকসংখ্যার ৩০ শতাংশ।
ক্রমবর্ধমান প্রবীণদের সুখী অবসর জীবন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাদের চিকিত্সা, দেখাশোনা, আর পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন পরিষেবা থাকা তাই জরুরি। প্রবীণদের পড়াশোনার চাহিদা মেটাতে, চীনের বিভিন্ন প্রদেশে প্রবীণদের জন্য বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করা হয়েছে ও হচ্ছে। চলতি বছরের ৩ মার্চ চীনে জাতীয় প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে চীনের বিভিন্ন এলাকার প্রবীণদের জন্য অনলাইন ও অফলাইনের ক্লাস চালু করা হবে; তাদেরকে বিভিন্ন শিক্ষাসম্পদ ও পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করা হবে। এর ফলে প্রবীণরা মজাদার ও সুখী জীবন কাটাতে পারবেন। আজকের আসরে আমরা চীনের জাতীয় প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরবো।
জাতীয় প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চু সিয়াও ছি গত ৩০ বছর ধরে নিজের কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততার মধ্যে কাজ করে গেছেন। অবসর নেওয়ার পর থেকে তিনি হতাশায় ভুগতে থাকেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তিনি জীবনের নতুন মানে খুঁজে পেয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিডিও শুটিং শিখেছেন। এর পর থেকে তিনি নিয়মিত মোবাইল ফোনে তাঁর আশেপাশের বিভিন্ন সুন্দর মুহূর্ত রেকর্ড করতে থাকেন। তাঁর তোলা ভিডিওগুলো ব্যাপক প্রশংসাও পেয়েছেন।
চীনের হ্যপেই প্রদেশের চুওচৌ জেলার বাসিন্দা জনাব চাও তাং পিং সাবওয়ে ও বাসে চড়ে রাজধানী বেইজিংয়ের হাইতিয়ান এলাকার প্রবীণদের স্কুলে পড়াশোনা করতে আসেন। গান গাওয়া তাঁর ছোটবেলার স্বপ্ন। তবে, ছোটবেলায় পরিবারের আর্থিক অবস্থার দুর্বলতার কারণে সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। অবসর নেওয়ার পর তিনি ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পান। এখন প্রতিদিন স্কুলে গানের ক্লাসে মনোযোগ দিয়ে সংগীতের জ্ঞান অর্জন করেন। এটি তাঁর জন্য বেশ উত্সাহব্যঞ্জক ব্যাপার।