বাংলা

গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে উচ্চশিক্ষিত যুব-গবেষক ছেন লিউ পিংয়ের প্রচেষ্টা

CMGPublished: 2023-05-01 10:30:27
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

একটি কোম্পানি আর খামার প্রতিষ্ঠা করা সহজ ব্যাপার নয়। এ প্রক্রিয়ায় তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্ব অনুভব করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং গবেষণায় দক্ষতার অভাব হলে, কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান শক্তিশালী হতে পারে না। তখন থেকে তিনি আধুনিক কৃষিকাজে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণার ওপর অনেক গুরুত্ব দিতে শুরু করেন। ২০১৭ সালে তিনি হ্যনান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমির শস্য জেনেটিক্স এবং প্রজনন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হিসেবে যোগ দেন এবং জিন ক্লোনিং, জেনেটিক্যালি মডিফাইডসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করেন। ২০২০ সালে আবার এ মেজরের পিএইচডি শিক্ষার্থী হন তিনি। চীনের বীজ প্রজনন বিশেষজ্ঞদের সাথে গম বীজ প্রজননের গবেষণা নিয়ে কাজ করেন তিনি।

চীনের হ্যনান প্রদেশের ফুইয়াং শহরের ছিংফেং জেলার একটি গ্রামে মিষ্টি আলুর চাষাবাদ ঘাঁটিতে কাজ করতে করতে রোদে ছেন লিউ পিংয়ের চেহারা কালো হয়ে যায়। তিনি স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষ চাষবাসের প্রযুক্তি শিখে ফেলেন। এ ঘাঁটি ছিল দারিদ্র্যবিমোচন প্রকল্পের অংশ। তিনি প্রকল্পের দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে, মিষ্টি আলু ক্ষেতের উন্নয়নে ব্যাপক প্রচেষ্টা করেন।

তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায়, এ ঘাঁটির মিষ্টি আলুর মান বেশ ভালো হয়। মিষ্টি স্বাদ ও সুগন্ধের কারণে এই আলু দ্রুত ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। স্থানীয় কৃষকরা মিষ্টি আলু বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করেন। তুয়ান গ্রামের কৃষক ওয়াং পিং হাই বলেন, চমত্কার মিষ্টি আলু চাষ করার জন্য স্থানীয় গ্রামবাসী ছেন লিউ পিংকে ‘মিষ্টি আলু ভাই’ বলে ডাকে।

বস্তুত, শুরুর দিকে এ প্রকল্পে অনেক সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। ২০১৫ সালে ছেন লিউ পিং ছিংফেং জেলায় মিষ্টি আলু চাষের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা শুরু করেন। তখন শুরুতে গ্রামবাসীদের মধ্যে অনেকেই একে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখেন। মিষ্টি আলুর দাম বেশি নয়। এটি চাষ করে কিভাবে বেশি টাকা উপার্জন করা সম্ভব? অনেকের মনে এমন প্রশ্ন জেগেছে।

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn